টাঙ্গাইলে ফারুক হত্যা: আত্মসমর্পণের পর মুক্তি কারাগারে
![](/assets/news_photos/2023/11/28/Ambee-pharma-350x175-image-1701168980.jpg)
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণের পর আবারও কারাগারে গেছেন।
সম্পর্কিত খবর
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে মুক্তি টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালতের বিচারক মো. মোস্তফা শাহরিয়ার খান তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২০ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে মুক্তি ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়ে ২২ নভেম্বর কারামুক্ত হন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২৬ নভেম্বর আপিল বিভাগের আদেশের তথ্য গোপনসহ মুক্তি জামিন আবেদন ঘিরে কিছু অসংগতির অভিযোগ তোলে রাষ্ট্রপক্ষ। তার পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তি জামিনাদেশ প্রত্যাহার করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তিকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আপিল বিভাগ গত ২৭ আগস্ট এক আদেশে সম্ভাব্য ছয় মাসের মধ্যে মামলার বিচার কাজ শেষ করতে বিচারিক আদালতে নির্দেশ দেন। এতে তথ্য গোপন বিষয়টি নজরে নিয়ে হাইকোর্ট আত্মসমর্পণের ওই আদেশ দেন।
গত ২২ নভেম্বর কারামুক্ত হওয়ার পর মুক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে হুইল চেয়ারে বসে মুক্তি আদালতে আসেন। এ সময় তার বাবা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান এবং তার ভাই সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা তার সঙ্গে ছিলেন।