সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতি, স্বাগত ওয়াশিংটনের
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঢাকার জিরো টলারেন্স নীতিকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) মার্কিন সরকার প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশটির জিরো টলারেন্স নীতির ওপর জোর দেন। তারা আল-কায়েদা ও আইএসআইএসের মতো বিশ্বব্যাপী সংগঠিত জিহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি নির্মূলে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
সম্পর্কিত খবর
২০২২ সালে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসী ঘটনা তেমন ঘটেনি বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের জঙ্গি বিরোধী অবস্থান ও কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরা হয় “কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম ২০২২” শীর্ষক প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, “আল-কায়েদা অনুমোদিত গোষ্ঠী, জামাত-উল-মুজাহিদীন (জেএমবি) এবং আইএসআইএস অনুমোদিত জেএমবি শাখা, নব্য জেএমবি’র মতো জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোতে কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে আমলে নেওয়ায় ২০২২ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী সহিংসতার অল্প কিছু ঘটনা ঘটেছে।”
অক্টোবরে সরকার আল-কায়েদা অনুপ্রাণিত গোষ্ঠী জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে নির্মূলে অভিযানের ঘোষণা দেয়।
এছাড়া অক্টোবরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর প্রশিক্ষণ নিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থান করার সময় জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে দমনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) অভিযান পরিচালনা করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলছে, জঙ্গি গোষ্ঠীটি জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে সহযোগিতা করেছিল।
এছাড়া বছর জুড়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কয়েক ডজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায়।
২০১৫ সালে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
ওই ঘটনায় পালানোর পরিকল্পনা এবং/অথবা কার্যকর করতে সহায়তা করার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত আল-কায়েদা অনুমোদিত আনসার আল-ইসলামের ২০ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে অভিযুক্ত করে কর্তৃপক্ষ।
ছিনিয়ে নেওয়া আসামিরা ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত পলাতক ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কারাগার ব্যবস্থায় মৌলবাদ থেকে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী নিয়োগ গুরুতর উদ্বেগ হিসেবেই রয়ে গেছে।
কারাগারে আমূল পরিবর্তন আনতে ২০২৩ সাল থেকে কর্মসূচি নিয়েছে সিটিটিসিইউ (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিআরটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর নজর দেয়। সেই অনুযায়ী নীতি, কর্মসূচিসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়ন করে।”