• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

৪ ইউপিডিএফ নেতাকে গুলি করে হত্যা, প্রতিবাদে ব্যাপক কর্মসূচি

প্রকাশ:  ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:৪৪
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থনপুষ্ট গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পিসিপির সাবেক সভাপতি বিপুল চাকমাসহ চার নেতাকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং নামক এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।

এ ঘটনায় পাহাড়জুড়ে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। জনমনে দেখা দিয়েছে ভয়ভীতি। ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ, হরতাল, সড়ক অবরোধ ও বাজার বয়কটসহ ব্যাপক কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে।

হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দেওয়ার দাবিতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ ও শোক সভা, বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন, ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত পানছড়ি বাজার বয়কট (প্রয়োজনে বয়কটের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে), ১৭ ডিসেম্বর পানছড়ি উপজেলাব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট এবং ১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে।

মঙ্গলবার এক যুক্ত বিবৃতিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংকন চাকমা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হত্যাকাণ্ডকে জঘন্য, ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বলেন, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীগুলোর সন্ত্রাসী অপতৎপরতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ নেই- তা এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণিত হলো।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা বলেন, সোমবার পিসিপির সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি লিটন চাকমা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রহিন বিকাশ ত্রিপুরা, নীতি দত্ত চাকমা ও হরিকমল ত্রিপুরাসহ ৭ জন নেতাকর্মী যুব সম্মেলন সফল করার জন্য লোগাং এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। এ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার।

ওই ৭ নেতাকর্মী অনিলপাড়া নামক গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় রাত প্রায় সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা সময়ের মধ্যে পানছড়ি সদর এলাকা থেকে ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ দুর্বৃত্তদের একটি সশস্ত্র দল ওই বাড়িতে যায় এবং অত্যন্ত ঠাণ্ডা মাথায় একে একে বিপুল চাকমা, সুনীল ত্রিপুরা, লিটন চাকমা ও রুহিন বিকাশ ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যা করে। পরে সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে ইউপিডিএফ সংগঠক নীতিদত্ত চাকমা, হরিকমল ত্রিপুরা ও সদস্য প্রকাশ ত্রিপুরাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাদের এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, খুন গুম করে জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমন করা যায় না। অতীতে অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করার পরও ইউপিডিএফকে আন্দোলন থেকে বিচ্যুত করা যায়নি, ভবিষ্যতেও যাবে না। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে অরাজকতা সৃষ্টিকারী এই ঠ্যাঙাড়ে খুনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।

খাগড়াছড়ি,নিন্দা ও প্রতিবাদ,দুর্বৃত্তরা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close