• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মানিকগঞ্জে কমরেড আজহারুল ইসলামের নামে সড়কের নামকরণ দাবি

প্রকাশ:  ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রয়াত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড আজহারুল ইসলাম ছিলেন আজীবন বিপ্লবী। শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ও কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারা জীবন রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করে গেছেন। শত বাধাবিপত্তি ও শাসকের রক্ষচক্ষুকে উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে লড়াই করে গেছেন।

মঙ্গলবার মানিকগঞ্জ শহরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর জেলা সংসদের কার্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত আজহারুল ইসলামের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা ও স্মরণসভায় এসব মন্তব্য করেন বক্তারা। এ সময় মানিকগঞ্জ শহরে আজহারুল ইসলামের নামে সড়কের নামকরণের দাবি জানানো হয়।

জেলা সিপিবি এ স্মরণ সভার আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ বলেন, যে আদর্শ ও চেতনায় মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, বাংলাদেশ তা থেকে দূরে সরে গেছে। লুটেরা ও ধনিক শ্রেণির হাতে রাজনীতি আজ বন্দী। আজ ধনী ও দরিদ্রের বৈষম্য চরমভাবে বেড়েছে। অথচ কমরেড আজহারুল ইসলাম এসবের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করেছেন। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আজহারুল ইসলামের সহপাঠী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন বলেন, আজহারুল ইসলাম শতভাগ প্রগতিশীল চিন্তার ধারক ও বাহক ছিলেন। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের যেসব গুণাবলি প্রয়োজন, আজহারুল ইসলামের সবই ছিল।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বলেন, নৈতিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ছিলেন আজহারুল ইসলাম। তিনি চাইলে অঢেল সম্পদের মালিক হতে পারতেন, আয়েশি জীবনযাপন করতে পারতেন। কিন্তু দিনমজুর ও খেটেখাওয়া মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি ছিলেন রাজপথের লড়াকু সৈনিক।

কমিউনিস্ট পার্টির প্রবীণ নেতা হরিপদ সূত্রধরের সভাপতিত্বে এবং জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ও সহসাধারণ সম্পাদক আরশেদ আলীর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান, জেলা সিপিবির সভাপতি অধ্যাপক আবুল ইসলাম শিকদার, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি দীপক কুমার ঘোষ, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) জেলা কমিটির সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক আকমল হোসেন, সমাজকর্মী ইকবাল খান, আজহারুল ইসলামের সহধর্মিণী জাহানার আরজু প্রমুখ। জাহানার আরজু বক্তব্যে তাঁর স্বামীর নামে জেলা শহরে সড়কের নামকরণের দাবি জানান।

১৯৫২ সালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আজহারুল ইসলাম। ছাত্র ইউনিয়ন থেকে রাজনীতি শুরু করে তিনি মানিকগঞ্জ জেলা সিপিবির সভাপতি দায়িত্ব পালন এবং পরে কেন্দ্রীয় নেতাও ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে কিছুদিন শিক্ষকতাও করেছেন আজহারুল ইসলাম। গত বছরের ৩০ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ঢাকা বিভাগ,বাম রাজনীতি,সভা,মানিকগঞ্জ,স্মরণ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close