রাজশাহী জেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি মর্জিনার আবেগঘন স্ট্যাটাস

রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন আবেঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টা ২০ মিনিটে তার ফেসবুক আইডি থেকে এই স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে। যেখানে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার জীবনের দুঃখের কথা তুলে ধরেছেন। এই স্ট্যাটাসে মূলত এবার তার রাজশাহী থেকে সংরক্ষিত মহিলা এমপি না হওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করেন।

তার আবেগঘণ এই পোস্টে কিছু কমেন্টে এমপি না হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেণ। পাঠকদের জন্য রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ত্যাগী নেত্র হিসেবে পরিচিত মর্জিনা পারভীনের লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

একটি সংগঠনের প্রধান দুটি পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক । ১৯৯৫ কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হলেন মিসেস আক্তার জাহান আপা আমি মর্জিনা পারভীন সাধারণ সম্পাদক । সভাপতি এম পি হলেন । ২০২৪ আমি দুই বারের সভাপতি আমার রাজনৈতিক অধিকার কোথায় ?

২০০৮ সালে উনি চাকুরী করার জন্য আইনগত করনে এম পি হতে পারলেন না মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সংরক্ষিত আসনে এম পি নাম ঘোষণা করলেন কিন্তু বিধি বাম, ২য় বারের জন্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুন নেশা তালুকদার আমার জায়গায় অধিষ্ঠিত হলেন । কবি নীরবেই সহে গেল আজ ২০২৪ পর্যন্ত কে সবচেয়ে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার সুবাদে সুবিধা ভোগী ?

ফিরে তাকাতে চায়, ঐ যে আইনগত কারনে এম পি হতে পারেননি সে কারনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কার্যকরী কমিটির সদস্য এপর্যন্ত ( ৩ বার) একই সাথে বরেন্দ্র উন্নয়ন কতৃপক্ষের সদস্য ২ বার আর ২ বারের চেয়ারম্যান চলমান । উল্লেখ্য চাকুরী করে স্বামী সন্তান সংসার করে , ১৯৯৬ সন্তানদের এ সরকারের চাকুরী দিয়ে প্রতিষ্ঠত করেছেন ৪ সন্তান কেউ ।

নীতিগত ভাবে বিচার বিবেচনা করলে আমরা শিক্ষিত বিবেকবান ঈমানদার দাবী করে থাকি । আমার শরীরে মুক্তিযোদ্ধার রক্ত আর কার শরীরে কার রক্ত সেটা ও বিবেচ্য বিষয় । কোন অপরাধে যদি কারো পদস্খলন হয় , তাহলে নীতিগত ভাবে বিচার একই হওয়ার কথা কিসের সুবিধার জন্য ও মূখ খোলে না কেউ? আমরা জানি সাংবাদিক সত্যের " প্রতিক " আজ কোথায় তারা কিসের ভয়ে না , অন্য কোন .........

স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনেক সত্য প্রকাশ হয়না। তোমরা যারা সাংবাদিক আছো