• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিদ্যালয়ে 'মই নাটকের' কারিগর প্রধান শিক্ষক জহির!

প্রকাশ:  ১৭ মার্চ ২০২৪, ১১:৫২
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর শহীদ স্মৃতি আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা একটি মই বেয়ে নিরাপত্তা দেওয়াল পেরিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য সহজ ও বিকল্প কোন পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে শিশুদেরকে এমন ঝুঁকি নিতে হচ্ছে- এমন একটি প্রচারণা চালান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যেখানে মই ছিল, সেখানে এখন ময় নেই। যদিও ওই বিদ্যালয়ে যাবার জন্য বিকল্প একটি প্রধান সড়ক ছিল। কিন্তু শিক্ষক জহির শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও এ নাটকের মঞ্চস্থ করেছেন। এ নিয়ে খোদ শিক্ষা কর্মকর্তাসহ অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে যাওয়ার জন্য গণকবরের পাশ দিয়ে একটি সড়ক রয়েছে। ওই পথ দিয়েই শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। তবে বিদ্যালয়ের মাঠের দক্ষিণ পাশে থাকা একটি পকেট গেট দিয়ে উপজেলা পরিষদের কম্পাউন্ডের ভেতর দিয়ে কিছু শিক্ষার্থী চলাচল করতো। তবে ওই পকেট গেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বিদ্যালয়ের জন্য। রাতের বেলা পকেট গেট দিয়ে বখাটেরা বিদ্যালয়ের মাঠে প্রবেশ করে নেশার আড্ডা বসাতো। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষক জহিরুল ইসলামের সাথে স্থানীয় বখাটেরা আঁতাত করে গেটটি খোলার জন্য উঠেপড়ে লাগে। বখাটেদের নেশার সুবিধার্থে বিদ্যালয়ে মই নাটকের মঞ্চত্ব করে শিক্ষক জহির। বখাটেদের সাহায্যে নিজেই একটি মই এনে কোমলমতি শিশুদের উঠিয়ে দেন সেই মইয়ে। এতে প্রাণের ঝুঁকিতে পড়ে শিশুরা।

যদিও মইয়ের বিষয়টি পরবর্তীতে প্রশাসন এবং শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন। পরে ওই স্থানে কাঁটাতার দিয়ে আবদ্ধ করে দেওয়া হয়৷ ব্যর্থ হয় শিক্ষক জহিরের 'মই নাটক'।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষক জহির ওই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর লেখাপড়া মান কমতে থাকে। কমে যায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও। বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে মনোযোগী নন তিনি। এছাড়া অধিনস্ত শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। বিদ্যালয় কেন্দ্রীক অনেকটা একরোখা সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ফলে শিক্ষার পরিবেশ ব্যহত হচ্ছে।

নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির একজন সদস্য বলেন, প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম নিজের মন মতো বিদ্যালয় চালান। তিনি কারো কথা শুনেন না। বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত স্লিপের টাকা নিজের মতো করে ব্যয় করেন। এছাড়া বিদ্যালয়ে জাতীয় কোন দিবস পালন করেন না তিনি। ফলে দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা কিছুই জানতে পারে না৷

বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষক জহিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজনের।

বিদ্যালয়,প্রধান শিক্ষক

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close