• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রেনু মিয়ার আয়ের উৎস কি!

প্রকাশ:  ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৬
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

রফিকুল ইসলাম রেনু। কুলাউড়া উপজেলা আ'লীগের সভাপতি। রাজনীতি করছেন ৫০ বছর ধরে। উপজেলা জুড়ে আছে নিজস্ব বলয়। অনেকেই তাকে ভাটি বাংলার সিংহ পুরুষ হিসেবে খ্যাতি দিয়েছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার দাম্ভিকতায় রফিকুল ইসলাম রেনুর আলোচনা-সমালোচনা পুরো উপজেলা জুড়ে।

রফিকুল ইসলাম রেনু আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। প্রতীক পেয়েছেন আনারস। ভোটের মাঠে সরব প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনী মুহুর্তে নানা মুখী আলোচনায় নজর কাটছেন উপজেলা আ'লীগের এ সভাপতি। উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ মনোনয়ন বাছাইপর্বে দিয়েছেন সভাপতি রেনু মিয়ার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে তুমুল আলোচনা হয়েছে। ওই অভিযোগে সভাপতির মনোনয়ন স্থগিত করা হয়।

অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক কামরুল উল্লেখ করেন, সভাপতি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন নির্বাচনী হলফনামায়। সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের পরিমান গোপন রাখেন। ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট ও কুলাউড়া ৩টি প্লট গোপন করেছেন।

অপর দিকে নির্বাচনী হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতায় ১৯৭০ সালে ফুলতলা বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাশ করার কথা উল্লেখ করেন। বাস্তবিক অর্থে আ.লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু সেই স্কুলের ছাত্র ছিলেন না বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন সাধারণ সম্পাদক।

লিখিত অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনু মিয়ার হলফনামার সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের সাথে কুলাউড়ার কৃষি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের তথ্য গোপন করেছেন।

আজ এক প্রেস কনফারেন্সে উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম বলেন, বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল হচ্ছে ১৯৬৭। তাহলে কিভাবে ১৯৭০ সালে রেনু মিয়া এসএসসি পাস করেন?

অন্যদিকে উপজেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামিলীগ ঘরোনার তিন প্রার্থী কুলাউড়া থাকার পরও ক্ষমতার বলে উপজেলা আ'লীগের অফিস নিজের নির্বাচনী অফিস বানিয়েছেন।

তিন প্রার্থীর মধ্যে উপজেলা আ'লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু (আনারস), সহ-সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক কামাল হাসান (মোটরসাইকেল) ও সাধারণ সম্পাদক আসম কামরুল ইসলাম (কাপ পিরিচ)।

উপজেলার বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের আয়ের উৎস নিয়ে চলছে আলোচনা। দৃশ্যমান কোন আয়ের উৎস না থাকা সত্ত্বেও গাড়ী, বাড়ির মালিক হয়েছেন কিভাবে সেটাই নির্বাচনী মাঠে সমালোচিত হচ্ছে বেশি।

সরজমিন কুলাউড়া উপজেলায় নিউজ সংগ্রহে গেলে একাধিক ভোটার সাংবাদিকদের প্রশ্ন করে বসেন 'রেনু মিয়ার আয়ের উৎস কি?

প্রাপ্ত সূত্র বলছে, রাজনীতি করেই একটি গাড়ি, কুলাউড়া শহরে তিনটি প্লট ও ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট করেছেন।

এদিকে তৃনমূল আ.লীগের নেতাকর্মীরা বেশ তিক্তবিরক্ত উপজেলা আ'লীগের সভাপতির উপর। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক নেতাকর্মী বলেন, 'বিনিময় ছাড়া কোন দিন কোন সহায়তা করেন নি সভাপতি। আমাদের বাধ্যকরা হচ্ছে কাজ করতে। এটা অন্যায়।'

উপজেলা আ'লীগের সভাপতির প্রসঙ্গে বশির উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান আলী বলেন, '১৯৭০ সালের কোন রেকর্ড আমাদের কাছে তাই। এসএসসি পাস কি না তা স্পষ্ট বলতে পারছি না।'

হলফনামা প্রসঙ্গে মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন আকন্দ বলেন, অভিযোগের সাথে কোন প্রমাণ না থাকায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

এ বিষয়ে কুলাউড়া উপজেলার আ.লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রেনুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

রেনু মিয়া,আয়

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close