• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইউপি সদস্য ও আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ

প্রকাশ:  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:১২
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের একটি রাস্তা তৈরির কথা বলে কয়েকশ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কাজিরবেড় ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকের নেতৃত্বে এ গাছ কেটেছে বলে অভিযোগ।

তবে মফিজুর রহমান ও এনামুল হক দুইজনই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন গ্রামবাসী নিজেরাই গাছ কেটেছে। এ ঘটনা জানার পর রোববার সকালে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিয়ন নায়েব আকরাম হোসেনকে ঘটনাস্থালে পাঠিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, মহেশপুর উপজেলার কাজিরবেড় ইউনিয়নের শালকো বিল-বাওড়ের পাশে লিয়নপুর বৌষ্টমতলা এলাকায় একটি মাটির রাস্তা আছে। সেই রাস্তার পাশে কয়েকশ বাবলা, ভাটাম,মেহগনি, কড়াই, সেগুন গাছ ছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান সেই রাস্তাটি ভাল ভাবে তৈরি করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেন এবং রাস্তা হবার আগেই কয়েকশ ছোট বড় গাছ কাটা শুরু করেন। গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করা হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, এ কাজে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হকও জড়িত রয়েছেন। কয়েক লক্ষ টাকার গাছ কেটে ইতিমধ্যে পাশ্ববর্তী ইটভাটা ও বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। রোববার সকালেও রাস্তার পাশের গাছ কাটতে দেখা গেছে। পরে স্থানীয়রা গাছ কাটার বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীল ইউনিয়ন নায়েবকে পাঠিয়েছেন গাছ কাটা বন্ধ করতে।

ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান বলেন , এটি একটি ভাগাড়। সেখানে কিছু গাছ ছিলো রাস্তা হবার কথা শোনার পর স্থানীয়রা রাস্তার পাশের গাছ গুলো কেটে নিয়ে গেছে। অনেকে ব্যক্তিগত গাছ কেটে নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, যারা রাস্তা মাপার কাজ করছিল (সার্ভেয়ার) তাদের খরচের জন্য কয়েকটি গাছ কাটা হয়। আর বাকি গাছগুলো স্থানীয় কয়েকজন কেটে আমার নাম ভাঙিয়েছে। এই ঘটনার সাথে আমি জড়িত না।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক বলেন, তার নাম ভাঙিয়ে এই গাছগুলো কাটা হয়েছে। যা আদৌও ঠিক হয়নি। তিনি স্বীকার করেন গত ৩ দিনে শতাধিক বিভিন্ন জাতের গাছ কেটেছে লোকজন।

কাজিরবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, ওই স্থানে একটি রাস্তার প্রস্তাব দেন ইউপি সদস্য মফিজুর রহমান। রাস্তার কাজ এখনো শুরু হয়নি। কিন্তু কে বা কারা রাস্তার কয়েকশ গাছ দিনে দুপুরে কেটে নিয়েছে। এই বিষয়টি জানার পর আমি ইউপি সদস্যের সাথে কথা বলেছি। কেউ কেউ বলেছেন ইউপি সদস্যর কথামত্ নাকি গাছ কাটা হয়েছে। তবে সরকারি গাছ কাটার কারো এখতিয়ার নেই। এই গাছ কাটতে গেলে অবশ্যই প্রশাসনকে জানাতে হবে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাশ্বতী শীল জানান, রোববার সকালে তিনি বিষয়টি জানার পর সাথে সাথেই কাজিরবেড় ইউনিয়নের নায়েবকে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/পিবিডি/পি.এস

ঝিনাইদহ,আ.লীগ নেতা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close