ফরিদপুরে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হররানির অভিযোগ
ফরিদপুর শহরের বেসরকারি মেডিকেল টেকনোলজি কলেজ কমিউনিটি ম্যাটস এর শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর শহরের পশ্চিমখাবাসপুর এলাকার কমিউনিটি ম্যাটস কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি মুজিব সড়ক হয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে দুই শতাধীক শিক্ষার্থী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
সম্পর্কিত খবর
মানববন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপার এর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে মো. আবদুল্লাহ আল নোমান, সজিব হাসান, আশিক, আন্না আকতার, মুক্তা আক্তার প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের মোট ৪ বছরের কোর্স। ৩ বছর একাডেমিক ও ১ বছর ইন্টার্নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তির পূর্বে বিএমডিসি’র অনুমোদন রয়েছে উল্লেখ করলেও এখন তারা বিএমডিসির সনদ দিতে পারছেন না। পরে খোজ নিয়ে তারা জানতে পারেন এই কলেজের বিএমডিসির কোনো অনুমোদনই নেই।
নারী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ভাইবা পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দিবে, নাম্বার কম দিবেসহ নানা অযুহাতে তাদের যৌন হয়রানি করা হয়। তাদেরকে ফরিদপুরের বাইরে ট্যুরে যাওয়ারও অফার দেয়া হয়। অনেক মেয়েই এসব কারণে কলেজ ত্যাগ করেছে বলে উল্লেখ করে তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কলেজ অধ্যক্ষকে তারা কখনই পান না। যেকোনো ধরণের অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে চাইলে পরিচালকদের সাথে কথা বলতে হয়।
সরেজমিনে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, ৪ তলা ভবনের নিচ তলায় একটি ফার্নিচারের শো’রুম। আর উপরের ৩ টি ফ্লোরে একাডেমিক, প্রশাসনিক ও শির্ক্ষার্থীদের আবাসিক হোস্টেল, এই নিয়ে চলছে কলেজটি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনুযায়ী পাওয়া গেল না কলেজ অধ্যক্ষকে।
কথা হলো, কলেজের অন্যতম পরিচালক মো. মহসিন এর সাথে। যৌন হয়রানি বিষয়টিকে তিনি ভিত্তিহীন ও অমুলক বলে উল্লেখ করেন।
বিএমডিসির অনুমোদন নিয়ে তিনি বলেন, বিএমডিসি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা স্টেট মেডিকেল বোর্ড অব ফ্যাকাল্টি থেকে সনদ দিয়ে থাকি। বিএমডিসি’র অনুমোদন একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আমরা আবেদন করেছি, এই মাসেই তাদের পরিদর্শনের আসার কথা। আশা করছি বিএমডিসির অনুমোদনও পেয়ে যাবো।
/অ-ভি