• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘সংস্কারের প্রশ্নে চীনকে কেউ নির্দেশ দিতে পারে না’

প্রকাশ:  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:৫৩
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উদার অর্থনীতির পথেই হাঁটবে চীন। তবে কারও হুকুম মেনে নয়। এ বিষয়ে কী করা উচিত বা অনুচিত তা নিয়ে চীনের উপর মাতব্বরি করতে পারে না কোনও দেশ।

নাম না করেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে সরাসরি ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়ে সাফ জানালেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেন, চীনের মানুষ কী করবেন বা করবেন না, সেই নির্দেশ দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই কোন দেশই।

সম্পর্কিত খবর

    আমেরিকা-চিন শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে দু’দেশের মধ্যেই সম্প্রতি টানাপড়েন শুরু হয়েছিল। তার প্রভাব পড়েছিল দু’দেশের কূটনীতিতেও। যদিও চলতি মাসের গোড়াতেই ৯০ দিনের মধ্যে সে সমস্যা সামধানে সম্মত হয়েছে দু’দেশই। সে জন্য দু’পক্ষই একে অপরের উপর শর্ত আরোপ করেছে। যা পূরণ না হলে শুল্ক নিয়ে আপস করবে না বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকা।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের সেই প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতেই এবার এই ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়লেন শি জিনপিং।

    ১৯৭৮ সাল থেকে উদার অর্থনীতির পথে হাঁটতে শুরু করে চিন। যার মূল কারিগর ছিলেন দেং জিয়াও পিং। সেই উদারনীতি নিয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ৪০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার এই হুঁশিয়ারি দেন চীনের প্রেসিডেন্ট।

    চলতি মাসের গোড়ায় আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে জি-২০ গোষ্ঠীর দেশগুলির বৈঠকের ফাঁকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানেই রফাসূত্রে সহমত হয় দু’পক্ষ।

    তাতে ঠিক হয়, ১ জানুয়ারি থেকে চীনা পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক বাড়াবে না আমেরিকা। নতুন করে শুল্কের আওতায় আনা হবে না কোনও পণ্যকে।

    অন্যদিকে, আমেরিকা থেকে খাদ্য, শিল্প-সহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানি বাড়াবে চীনও। যাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা যায়। এ ছাড়া, চিন যাতে আরও আর্থিক সংস্কারের পথে এগোয় তাও চায় আমেরিকা। যাতে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি চীনে গিয়ে নিরাপদে ব্যবসা চালাতে পারে এবং তাদের মেধাস্বত্ত্ব চুরি রোখা যায়। শুল্ক যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও রাজি হয় দু’পক্ষ।

    চীনের বিশাল বাজার দখল করতে দীর্ঘদিন ধরেই সে দেশে পুরোপুরি ভাবে ব্যবসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। তবে তাদের অভিযোগ, তাতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে ওই দেশগুলির বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। যদিও চীনের সংস্থাগুলি আমেরিকা-ইউরোপীয় দেশে নানা ধরনের ব্যবসায়িক সুবিধা ভোগ করছে।

    তবে এদিন আমেরিকার নাম উল্লেখ না করেই চীনের দাবি, কোনও দেশের কাছেই বিপজ্জনক নয় চীন। সেই সঙ্গে তার মন্তব্য, যে সমস্ত ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রয়োজন বা যা করা উচিত, আমরা তা করব। তবে যে ক্ষেত্রগুলিতে সংস্কারের প্রয়োজন নেই তা অপরিবর্তিতই থাকবে।

    সংস্কারের কথা বললেও, তা কোন কোন ক্ষেত্রে করা হবে, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি শি জিনপিং। পাশাপাশি, অর্থনীতির ক্ষেত্রে উদার মনোভাব দেখালেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোনও রকম শিথিলতা দেখাতে রাজি নন শি জিনপিং। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে দেশে একদলীয় ব্যবস্থাই চালু থাকবে।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close