সন্তানকে জানিয়ে দিন পড়া মনে রাখার ৭টি উপায়
“এ্যাই, পড়ার সময় খেলছো কেন? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা!” এমন ধমক আমাদের সবাইকেই শুনতে হয়েছে। আমাদের সন্তানদেরও হয়তো শুনতে হবে। তবে পড়ার নিয়ম যদি যথাযথ না হয়, তাহলে অনেক অনেক পড়েও পড়া মনে থাকবে না। তাহলে উপায়?
আসুন ওদের জানিয়ে দেই পড়া মনে রাখার ৭টি কার্যকরী টিপস-
সম্পর্কিত খবর
রুটিন করে পড়া বাচ্চার পড়ার রুটিনে কিছুটা বৈচিত্র্য থাকলে তার পড়ায় মন বসবে। সকালবেলার পড়া খুব সহজেই মনে থাকে,এই সময় কঠিন বিষয় বুঝে পড়াতে পারেন। তাছাড়া এক বিষয় নিয়ে একঘেয়েভাবে সময় না কাটিয়ে, অন্যান্য বিষয় পড়লেও ভালো হয়।
মার্ক করে পড়া একই পড়া বারবার পড়তে গেলে মার্জিন টেনে রেখে, রঙিন কলম দিয়ে চিহ্ন রেখে পড়তে বলতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন সূত্র কিংবা গ্রামারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো রঙিন কাগজে লিখে সন্তানের পড়ার রুমের দেয়ালে লাগিয়ে দিতে পারেন। তাতে তা সহজেই চোখে পড়বে এবং এমনিতেই মনে থাকবে।
বুঝে পড়তে বলুন আপনার সন্তান পড়ার বিষয়বস্তু না বুঝে যেন মুখস্থ না করে। বরং ওকে গল্পের ছলে পড়া বুঝিয়ে দিন। বুঝে শুনে পড়লে, পড়ার বিষয়বস্তু অনেক দিন মনে থাকে। এবং গল্পের ছলে পড়া বুঝে, সেটা নিয়ে ভাবলে তার মধ্যে কল্পনাশক্তির বিকাশ হবে।
পড়ার সাথে লেখাও চলুক! লেখার অভ্যেস থাকা খুব জরুরী। পড়ার সময় না দেখে লিখলে খুব সহজেই পড়া মনে থাকবে। পরীক্ষার সময়েও আর গুলিয়ে ফেলবে না!
বাস্তবের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে মিলিয়ে পড়াতে পারেন বাস্তব কোন বিষয়কে উদাহরণ হিসেবে দেখালে তা সহজেই মনে থাকে। ধরুন আকাশে বিশাল চাঁদ উঠেছে, একসময় হয়তো বাচ্চাকে চাঁদ মামার ছড়া শুনিয়েছেন। এখন শোনাতে পারেন চাঁদে প্রথম পা রাখা ‘নিল আর্মস্ট্রং’-এর চন্দ্র বিজয়ের গল্প।
পুষ্টিকর খাবার ও পরিমিত ঘুম আবশ্যক শিশুকে পুষ্টিকর খাবার, যেমনঃ ডিম, দুধ, বিভিন্ন ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খেতে দিন। এসব খাবার তার স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এছাড়াও তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে ঘুমুতে দিন। ভালো ঘুম তার ব্রেনকে সতেজ রাখবে। জাংক ফুড যত কম দেবেন ততই ভালো। (সূত্র: অন্যরকম বিজ্ঞান বক্স)
/রবিউল