• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কন্ঠশিল্পী আনুশেহ আনাদিলসহ তার ভাই কুশান অভিযুক্ত

এবার বনানীর হোটেল সুইট ড্রীমে তরুণী ধর্ষণ

প্রকাশ:  ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৭:১০ | আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৮
বিনোদন ডেস্ক

সঙ্গীতশিল্পী আনুশেহ আনাদিলের ভাই কুশান ওমর সূফির বিরুদ্ধে বনানী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এজহার দায়ের করেছেন এক নারী। এজহারে অভিযোগ করা হয়েছে, আনুশেহ আনাদিলের ভাই কুশান ওমর সূফি তাকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন বিষয়টি পূর্বপশ্চিম বিডি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৩ ডিসেম্বর তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, 'আমি আপনার থানায় হাজির হয়ে বিবাদী ১, কুশান ওমর সুফির বিরুদ্ধের এই মর্মে এজহার দায়ের করছি যে, উক্ত বিবাদীর সাথে আমার প্রায় দেড় বছর পূর্ব হতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যার প্রেক্ষিতে আমি বিবাদীর সাথে বিভিন্ন স্থানে এবং দীর্ঘ এই সম্পর্কের কারণে উক্ত বিবাদীর বাসায় প্রায় বেড়াতে যাওয়া হতো।

এক পর্যায়ে উক্ত বিবাদী আমাকে বিবাহ করবে বলে তাদের বাসায় নিয়ে সবার সাথে পরিচয় করায়। উক্ত বিবাদী গত জুন মাসে দেশের বাইরে যায় এবং সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ফিরে আমাকে বিবাহ করবে বলে আশ্বাস প্রদান করে। সে দেশে ফেরার পর গত ১৯/১১/২০১৭ আমি তার বাসায় যাই আমাদের বিবাহের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। কিন্তু আসামীর বোন আনুশেহ আনাদিল (৪০) আমাকে তাদের বাসায় প্রবেশ করতে নিষেধ করে।

তখন উক্ত আসামী আমাকে বলে যে, ‘চলো আমরা বাইরে কোথাও গিয়ে আলোচনা করি’, এ কথা বলে সে এক রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া শেষে আমাকে ২০/১১/২০১৭ রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটে বনানী থানাধীন বাড়ি নং ৬০, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, হোটেল সুইট ড্রীমে রুম নং- ৮০৫ নিয়ে যায়। আমি বিবাদীকে অত্যন্ত ভালোবাসি বিধায় তার কথায় উক্ত হোটেলে যেতে সম্মতি জ্ঞাপন করি। বিবাদী উক্ত হোটেলে আসার পর বিবাহের বিষয়ে কোনো কথা-বার্তা না বলে হঠাৎ আমাকে মারধর শুরু করে এবং এক পর্যায়ে আমি বারবার বাঁধা দেয়া সত্ত্বেও আমাকে উক্ত আসামী রাত আনুমানিক ০১.৩০ ঘটিকার সময় বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া জোর পূর্বক ধর্ষন করে।

২০/১১/২০১৭ সকালে ফোনে বনানী থানায় জানালে থানার টহল টিম আমাকেসহ উক্ত বিবাদীকে থানায় নিয়ে আসে এবং অভিযোগ করার জন্যে আইনী পরামর্শ দেয়। সংবাদ পেয়ে বিবাদী তার চাচা জনাব পাপ্পু সুফিকে থানায় আসিলে আমি তাকে সম্পূর্ণ খুলে বলি। এরপর বিবাদীসহ আমার আত্মীয় সাক্ষী জনাব শাহীন খান এবং বিবাদীর আত্মীয় জনাব পাপ্পু সুফি এবং নুর ইসলাম সাহেবের সামনে আমার কাছে ক্ষমা চায় এবং পরদিন অর্থ্যাৎ ২১/১১/২০১৭ তারিখে আমাকে বিবাহ করবে বলে সবার সামনে কথা দেয়। আমাদের বিবাহের দিন ধার্য করায় আমি ঘটনার বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করিব না বলে জানিয়ে অভিযোগ দায়ের না করে আমরা থানা হতে চলে যাই এবং সকল সাক্ষীদের সামনে এক লিখিত আপোষ মীমাংসা হয়। ২১/১১/২০১৭ তারিখে আমি বিবাদীর বাসায় গেলে বিবাদীর বোন আনুশেহ আনাদিল (৪০), বিবাদীর বোনের স্বামী শেত পান্ডু ব্লুববার্গ (৪৩), আত্মীয় সাজলী (৪২) পিতা-অজ্ঞাত, গণ আমাকে বাসায় প্রবেশ করতে না দিয়ে আমাকে মারধর করে এবং নানাভাবে হুমকি প্রদান করে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

তারা ইতিমধ্যে উক্ত বিবাদীকে অন্যত্র রেখে আসে এবং আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে বিবাদীকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিবেন বলে আমাকে জানান। এই মর্মে আমি ক্যান্টনমেন্ট থানায় জিডি নং ৯৩৫, তাং ২৩/১১/২০১৭ দায়ের করি। বিবাদী বর্তমানে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। উক্ত বিবাদী যে কোনো সময় দেশ ত্যাগ করতে পারে। উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া অত্যন্ত আবশ্যক। আমি পারিবারিকভাবে বিবাহের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আলোচনা শেষে এজাহার দায়েরে বিলম্ব হলো। অতএব, উল্লিখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে মর্জি হয়'। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ মার্চ রাতে রাজধানীতে বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। এরপর বেরিয়ে আসে, সেই রাতে আরও দুই তরুণী ধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় গত ৬ মে আপন জুয়েলার্সের অন্যতম কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও ই-মেকার্স ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক নাঈম আশরাফ ওরফে হাসান আবদুল হালিমসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন এক ছাত্রী। মামলার অন্য তিন আসামির একজন সাদমান সাকিফ রেগনাম গ্রুপের পরিচালক।

/এটিএম ইমু

বনানী,হোটেল,মামলা,ধর্ষণ,নারী,নির্যাতন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close