• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

১০ জনের মৃত্যু পরিকল্পিত নাশকতা, সন্দেহ নওফেলের

প্রকাশ:  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ০২:১৫ | আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ০২:১৬
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সদ্যপ্রয়াত সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে মেজবান খেতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিকল্পিত নাশকতার সন্দেহ করছেন তার ছেলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সোমবার রাতে রীমা কমিউনিটি সেন্টারের দুর্ঘটনা বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ শঙ্কার কথা জানান তিনি।

নওফেল বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে নাশকতার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। কেউ পরিকল্পিত ভাবেও এ ঘটনা ঘটাতে পারেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন হাতে পেলে নিশ্চিত করে বলা যাবে কী ঘটেছে।

সম্পর্কিত খবর

    মেয়রপুত্র বলেন, কুলখানিতে পদদলিত হয়ে দশ জনের মৃত্যুর ঘটনা স্বাভাবিক নয়। রীমা কমিউনিটি সেন্টারের বাইরে নগরীর আরো ১৩টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের আয়োজন করেছিলাম। ওইসব সেন্টারের কোথাও সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়নি। এখানে কেন এ বিশৃঙ্খলা হলো আমরা এখনও নিশ্চিত নই। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি, যারা মারা গেছেন তারা পদদলিত হয়ে মারা যাননি। মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে তারা মারা গেছেন। কমিউনিটি সেন্টারের গেট খুলে দিলে কেউ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তারা পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান, এ কারণে তাদের মৃত্যু হয়। রীমা কমিউনিটি সেন্টারে কেন এ ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে দেখা উচিত। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন হাতে পেলে নিশ্চিত করে বলা যাবে কী ঘটেছে।

    আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারে আমাদের এক থেকে দেড়শ স্বেচ্ছাসেবক ছিল। এ ঘটনায় আমাদের একজন স্বেচ্ছাসেবকও মারা গেছেন। পুলিশও সেখানে ছিল, সুতরাং শৃঙ্খলা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল। এটাই চিন্তার বিষয়। আমরা ঘটনা পেছনের কারণ জানার চেষ্টা করছি।

    নওফেল বলেন, আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেছিলাম। এরপরও এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

    নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহযোগিতা করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের একজন নেতা নিহতদের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন থেকেও তাদের সহযোগিতা করা হবে। আমরা আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো। তাদের সবার তো আর্থিক অবস্থা একরকম নয়, তাই আমরা হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সহযোগিতা করবো।

    তবে জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত মানুষের চাপে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরও অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, তা যাচাই করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবার বাহার মর্মান্তিক এই ঘটনার জন্য কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশমুখ ঢালু ও স্যাঁতসেঁতে থাকাকে দুষেছেন।

    সিএমপি কমিশনার বলেন, এ দুর্ঘটনার নেপথ্যে আপাতত আমরা অন্য কোনো কারণ দেখছি না। প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। শৃঙ্খলার জন্যও নির্ধারিত লোকজন ছিল। কুলখানি বলে কারো প্রতি কঠিন আচরণও করা যায়নি।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close