• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘শুধু আইনের লড়াইয়ে যুদ্ধে জয় লাভ করা সম্ভব নয়’

প্রকাশ:  ২২ মার্চ ২০১৮, ২০:১৬ | আপডেট : ২২ মার্চ ২০১৮, ২০:৩৯
নিজস্ব প্রতিনিধি

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামিন পেয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। তাকে মুক্ত করতে আমাদের আইনের মাধ্যমে এ যুদ্ধের মোকাবিলা করতে হবে। তবে শুধু আইনের লড়াইয়ের মাধ্যমে এই যুদ্ধে জয় লাভ করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অনির্দিষ্ট কারাবাস, অসহায় বিচার ব্যবস্থা: বাংলাদেশ কোন পথে? শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার পথ হল দুইটা। এর মধ্যে একটা আইনের পথ, অন্যটা হল রাজপথ।

সম্পর্কিত খবর

    আমাদের আইনী প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করতে হবে। এর পর রাজপথে যেতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান দেশের সার্বিক অবস্থাকে কলঙ্কজন অধ্যায় বলাও যথেষ্ট নয়। ১৯৭৫ এর সাংবিধানিক একদলীয় শাসনের চেয়ে অনেক নিম্নমানের একদলীয় শাসন চলছে। এর চেয়ে নিম্নমানের শাসন আর হতে পারেনা। প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে জনসভা করে জনগণের কাছে ভোট চাইছেন। অন্যদিকে খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রাখা হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খাতা কলমে সব আছে কিন্তু আসলে কিছু নেই। ভয় ভীতি দেখিয়ে সব শেষ করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছিলেন নিম্ন আদালত নির্বাহী বিভাগের অধীনে দিলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবেনা। এর জন্য তাঁকে অপসারন করা হয়েছে। অপসারণ করতে কোন আইনের প্রয়োজন হয়নি।

    এসময় তিনি বলেন, এই সরকার নতুন পথ দেখিয়েছে। যদি সরকারের বিরুদ্ধে কোন বিচারক রায় দেন তাহলে তার বিরুদ্ধে নিজ দলের ছেলেপেলেদের নামিয়ে দেবেন। মিছিল মিটিং হবে। দুদক তো বসেই আছেন। দুর্নীতির মামলা করে বিতর্কিত করে দেবেন। এর পর তাকে নিজ ইচ্ছায় বিদায় নিতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান যেসব প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, সেগুলোকে খণ্ডিত করা যাবে কিন্তু বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। আজ সব জায়গা থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দেয়া হচ্ছে। শিশু পার্ক থেকে শহীদ জিয়া নাম মুছে দেয়া হবে। কিন্তু তার নাম যতোই মুছে ফেলা হোক তিনি মানুষের অন্তরে থেকে যাবেন।

    মওদুদ আহমদ আরো বলেন, বর্তমানে স্বাধীনতার চেতনা হল যতো পারো দুর্নীতি কর। ব্যাংক লুট কর। শেয়ার মার্কেট লুট কর। গত এক বছরে ৩৭ হাজার কোটি টাকা বাইরে গেছে। এগুলো সব করেছে সরকারি দলের লোকজন ও তাদের আত্মীয়রা। এগুলো জনগণের টাকা। সরকারি ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই। নির্বাচন যতো এগিয়ে আসবে ততো আরো বেশি টাকা পাচার হবে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার চেতনা হল বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করা। বেছে বেছে গুম করো। সব শিক্ষাঙ্গন আমাদের দখলে নাও। ভিসি আমাদের হতে হবে। নিম্ন আদালত আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে।

    সংগঠনের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম মিয়ার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন -অ্যাড. ফজলুর রহমান, শফিউল আলম প্রধান প্রমুখ।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close