• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নারীসহ দুই আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি

‘প্রবীরের মতোই স্বপনকে সাত টুকরো করা হয়’

প্রকাশ:  ২০ জুলাই ২০১৮, ১১:০৯ | আপডেট : ২০ জুলাই ২০১৮, ১১:১৮
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ থেকে গত ২১ মাস যাবত নিখোঁজ কাপড়ের ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহাকেও স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের মতো একই কায়দায় হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে বলে এই মামলার দুই আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রবীর হত্যা মামলার প্রধান আসামী পিন্টু দেবনাথের বান্ধবী রত্না চক্রবর্তী ও হত্যাকাণ্ডের প্ররোচনাকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বপন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে এ জবানবন্দি দেন।

বৃহস্প্রতিবার (১৯ জুলাই) বিকেল থেকে দীর্ঘ চার ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে রত্না চক্রবর্তী ও মেহেদী মহসিনের আদালতে আব্দুল্লাহ আল মামুনের দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

জবানবন্দিতে রত্না চক্রবর্তী আদালতকে জানান, পিন্টু দেবনাথের টাকায় কোলকাতায় কেনা একটি ফ্ল্যাট স্বপন কুমার পিন্টুকে বুঝিয়ে না দেয়ায় এবং বান্ধবী রত্না সাথে স্বপনের অবৈধ সম্পর্কের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে তাদের দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুাপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রবীর চন্দ্র হত্যা মামলার তদন্ত করেতে গিয়ে বেরিয়ে আসে পিন্টু দেবনাথ ২১ মাস আগে তার আরেক বন্ধু স্বপন কুমার সাহাকে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর বিকেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পিন্টু দেবনাথের বান্ধবী রত্না চক্রবর্তী স্বপন সাহাকে শারিরীক সম্পর্ক করার কথা বলে মোবাইল ফোনে তার মাসদাইরের বাসায় ডেকে নিয়ে যায়।

স্বপন ওই বাসায় গেলে রত্না পিন্টু দেবনাথকে মোবাইল ফোনে জানায়। পিন্টু দেবনাথ এসে জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে কৌশলে স্বপনকে খাইয়ে দেয়। এতে স্বপন অচেতন হয়ে পড়লে পিন্টু দেবনাথ পুঁতো দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে স্বপনের লাশ বাথরুমে নিয়ে লাশ সাত টুকরা করে বাজারের ব্যাগে ভরে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।

তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা বা তা তদন্ত করা হচ্ছে।

ওএফ

লাশ,হত্যাকাণ্ড
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close