• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

৫ বলে তাইজুলের ৩ উইকেট

প্রকাশ:  ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:১৫ | আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২৬
স্পোর্টস ডেস্ক

লাঞ্চের পরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের স্পিন ফাঁদে পা দিয়ে আউট হয়েছেন পরপর তিন ব্যাটসম্যান। প্রথমে শন উইলিয়ামস পরে একই পথ ধরেন সিকান্দার রাজা এবং পিটার মুর। তৃতীয় দিনে এখন পর্যন্ত চার উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। এরআগে ওপেনার মাসাকাদজাকে ফেরান মেহেদী মিরাজ। ছয় উইকেট হারিয়ে এখনো ২৮৮ রানের লিড নিয়ে এগিয়ে আছে সফরকারীরা।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৯ রান। ৩ ররানে ব্যাট করছেন মাসাকাদজা। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত আছেন চাকাভা।

এরআগে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে প্রথম আঘাত আনলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্রায়ান চারিকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন এই অফ স্পিনার।

মিরাজের পর দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। ১৮তম ওভারের তিন নম্বর বলে ইমরুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে টেইলরকে ফেরান তিনি। ফেরার আগে ২৪ বলে ২৫ রান করেছেন এই টপ অর্ডার।

এর আগে ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সাদা পোশাকের টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে এমন চেহারায় দ্বিতীয় দিনেই হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন ব্যাটিংকে ঠিক কিভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? চাতারা-জার্ভিস যেন হয়ে উঠল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য আগুনের গোলা। লিটন দাস বরাবরের মতই অধারাবাহিক। কখনো দারুণ স্ট্রোক খেলেছেন তো কখনো শুরুতেই দলকে বিপর্যয়ে ফেলে যাচ্ছেন। এশিয়া কাপে শতকের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮০+ রানের ইনিংস। কিন্তু এর মাঝে কোনো ইনিংসেই রান নেই। শূন্য রানেই ফিরেছেন দুইবার। শুরু থেকেই যেন স্নায়ুবিক ভয় কাজ করছে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের মাঝে।

ওয়ানডের ফর্মকে প্রথম টেস্টে টানতে ব্যর্থ হয়েছেন ইমরুল কায়েসও। খোঁচাখুঁচি করে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে উইকেট ছুঁড়ে এসেছেন তা যেন পুরনো বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকেই মনে করিয়ে দিয়েছে। উইন্ডিজের বিপক্ষে বিদেশি পিচের দোহাই দিলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন উইকেট ছুঁড়ে আসাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবে ব্যাটসম্যানরা?

শনিবার ২৩৬ রানে ৫ উইকেটের পর সফরকারিদের ২৮২ রানে আটকে দেয়ার পর মনে হচ্ছিল অন্তত কম রানেই বেধে ফেলা গেলো। কিন্তু সেই রানকে পাহাড় বানিয়ে ফেলেছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। ১৩৯ রানে পিছিয়ে থেকে অলআউট। যার ফলে দ্বিতীয় দিন শেষেই পরাজয়ের শঙ্কা টাইগার শিবিরে।

১৯ রানে চার উইকেট হারানোর পর যা একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক এবং মমিনুল। কিন্তু ৭৮ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর আর লড়াইয়ে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায়। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং আরিফুললের ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১০০ রান পার করে বাংলাদেশ।এরপরেই ফিরে যান মিরাজ। ২১ রান করেন তিনি।

এক পর্যায়ে উইকেট হারালে ব্যাটসম্যান হিসেবে টিকে ছিলেন আরিফুল। তবে রানের চাকা সচল না করে সময়ক্ষেপনের চেষ্টা করেন তিনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মুশফিকুর রহীমের রান ৩১।

লাল বলের ক্রিকেটে টানা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস। শেষ ১৫ ইনিংসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনিংসগুলো যথাক্রমে ৮, ০, ৬৬, ৯, ৪, ৪৩, ৮৩*, ২৮*, ১৭, ৬, ০, ১৫, ০, ৪ ! অর্থাৎ একটি মাত্র অর্ধশতক! ৯ ইনিংসে পৌছাতে পারেননি দুই অংকের রান।

অন্যদিকে ইমরুল কায়েসের শেষ ১৫ ইনিংস ৩৪, ০, ০, ২, ৪, ১৫, ৭, ৩২, ২৬, ৩২, ৪০, ১৯, ১৯, ১৭, ৫ ! শতক তো দূরের কথা। একটি অর্ধশতকও আসেনি এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে।

বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ব্যাটিং লাইনআপও মহাবিপর্যয়ে। শেষ ৫ ইনিংসের একটিতেও ১৫০ রানের কোটা পার করতে পারেনি টাইগার ব্যাটসম্যানরা। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং নিয়ে দলের ব্যাটসম্যানদের যে ভাবনার আছে অনেককিছু তা সহজেই অনুমেয়।

/রবিউল

তাইজুল ইসলাম,বাংলাদেশ,জিম্বাবুয়ে,মেহেদী হাসান মিরাজ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close