• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সেই জেলারের কোটি টাকার এফডিআর তুলে নিয়েছে স্ত্রী-শ্যালক

প্রকাশ:  ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:১৮ | আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:২১
ভৈরব প্রতিনিধি

চট্রগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আবারও কারাগারে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পর ভৈরব রেলওয়ে থানায় দুটি মামলা দায়ের পর মানিলন্ডারিং মামলাটি দুদককে তদন্ত করতে দেয়া হয়। গত সোমবার দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা ময়মনসিংহ দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম কিশোরগঞ্জ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আবেদনটি আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পরে তাকে কিশোরগঞ্জ থানায় নিয়ে ২ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আবারও কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা। এদিকে জেলার সোহেল গত ২৬ অক্টোবর ভৈরবে রেলওয়ে পুলিশের হাতে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর ও চেকসহ গ্রেফতার হওয়ার পর ২৯ অক্টোবর তার স্ত্রী ও শ্যালকের নামের ১ কোটি টাকার দুইটি এফডিআর ময়মনসিংহ শাখার মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এই প্রতিনিধিকে মোবাইল ফোনে জানান। তার মধ্য স্ত্রী হোসনে আরা পপির নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংক দুটি ব্যাংকে এফডিআর ছিল ১ কোটি টাকা (প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৫০ লাখ টাকা নিতে পারেনি)।

তার শ্যালক রাকিবুল হাসানের নামে প্রিমিয়ার ব্যাংকে এফডিআর ছিল ৫০ লাখ টাকা যা উঠিয়ে নিয়ে গেছে। এফডিআর এর মূল কপি ছাড়া দুটি ব্যাংক থেকে কিভাবে কেমন করে কোটি টাকা তুলে নিল তা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সাধারণত এফডিআর এর মূল কপি না থাকলে থানায় জিডিসহ অনেক কিছু প্রসেসিং করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে হয়। তবে জেলারের নামে ১ কোটি টাকার এফডিআর ব্যাংক থেকে তুলতে পারেনি। এদিকে ওইদিন জেলারের কাছ থেকে আটককৃত ৪৪ লাখ টাকা ৪৩ হাজার টাকা আদালতের অনুমতি না পাওয়াই এখনও সরকারি কোষাগার ব্যাংক হিসেবে জমা করতে পারেনি বলে জানায় রেলওয়ে পুলিশ। এর আগেও ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ মাদকের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুদিনের রিমান্ডে এনেছিল।

গত ২৬ অক্টোবর চট্রগ্রাম কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস নগদ ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াইকোটি টাকার এফডিআর ও ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে গ্রেফতার হয়। ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়। পরে কারা কর্তৃপক্ষ জেলারকে বরখাস্ত করে এবং ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। বর্তমানে সোহেল রানা কিশোগঞ্জ কারাগারে রয়েছে।

ময়মনসিংহ দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপ- পরিচালক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এই প্রতিনিধিকে শুক্রবার মোবাইল ফোনে জানান, তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি যা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা সম্ভব নয়। তিনি বলেন জব্দকৃত এফডিআর এর মধ্য তার স্ত্রীর নামে ৫০ লাখ ও শ্যালকের নামে ৫০ লাখ টাকা তারা দুটি ব্যাংক থেকে তুলে নিয়ে গেছে। কিভাবে তারা ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ এফডিআরের টাকা মূল কপি ছাড়া উত্তোলন করে ফেলল তাতে আমি হতবাক হয়েছি।

তবে বাকী দেড় কোটি টাকার এফডিআরসহ সোয়া দুইকোটি টাকা কয়েকটি ব্যাংকে যথানিয়মে জব্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে দেয়া ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেকগুলির ব্যাংকে কোন টাকা নেই বলে তিনি জানান। সবগুলি বিষয়েই তদন্ত করে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

/পি.এস

ভৈরব,জেলার,১ কোটি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close