• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

নির্বাচন কমিশন সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যর্থ: সুলতানা কামাল

প্রকাশ:  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণার শুরুতেই হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মানবাধিকার কর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, আজব পরিস্থিতিতে নির্বাচন হচ্ছে। সকলের অংশগ্রহণে এই নির্বাচন হলেও একপক্ষ হামলা-মামলা ও গ্রেফতারের কারণে বাড়িতে থাকতে পারছে না। তাদের অনেকেই জেলে, বাকিদের থানা-আদালত করতে হচ্ছে। অন্যপক্ষ সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ভোটের জন্য জনগণের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছে। এতে স্পষ্ট নির্বাচন কমিশন সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

    বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য তিন জেলার আদিবাসী ভোটারদের অবাধ অংশগ্রহণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি ও উন্নয়ন সংগঠন এএলআরডি আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দওয়ান।

    সুুলতানা কামল বলেন, ভোট নিয়ে যে উৎসব আমেজ শুরুতে ছিল, এখন সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে উৎকণ্ঠা। দেশজুড়ে এখন সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি বিরাজমান। এই অবস্থায় আদৌও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে শংকিত সাধারণ জনগণ।

    দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে তিনি সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান এই মানবাধিকার কর্মী।

    পাহাড়ে অরাজকতা চলছে উল্লেখ করে সুলতানা কামাল বলেন, পাহাড়ে আইনকানুন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। পেশিশক্তিই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। রক্তপাত হচ্ছে, অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে।পাহাড়িরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

    পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আশংকা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের আগে পার্বত্য তিন জেলাসহ সারাদেশে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে সাধারণ নাগরিক ও ভোটাররা নিশঙ্কচিত্তে, নিরাপদে ও স্বাধীনভাবে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ভোটের আগে, ভোটের দিন ও ভোটের পরে কেউ কোন নিপীড়ন নির্যাতন ও হয়রানির শিকার যেন না হয়, তার গ্যারান্টি দিতে হবে নির্বাচন কমিশন ও রাষ্ট্রকে।

    তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে শান্তির লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর যে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিলো ২১ বছরেও তা পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বিদ্যমান পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকে যাচ্ছে। চুক্তি সম্পাদনকারী দল আওয়ামী লীগ একনাগাড়ে ১০ বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে সরকার পরিচালনা করলেও চুক্তির প্রধান ধারাগুলো এখনো অবাস্তবায়িত। পার্বত্য চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার কবে পুরণ হবে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের সদস্য খুশী করিব, ব্যারিষ্টার সারা হোসেন এবং এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

    পিবিডি-এনই

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close