জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের জন্য হুমকি: জিম ব্যাংকস
প্রভাবশালী মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম ব্যাংকস বলেছেন, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিকে পুরো বিশ্ব তাকিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় যেন একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন হোক এবং সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হোক।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে জামায়াতে ইসলামির মতো গ্রুপ এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হুমকি।
সম্পর্কিত খবর
ওয়াশিংটনে আয়োজিত ‘স্ট্যাবিলিটি, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইসলামিজম’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কখা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বয়স খুব বেশি নয়। আর ক্ষমতা দখলে কিছু উগ্রবাদী সংগঠন এই গণতান্তিক প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, উগ্রবাদী গোষ্ঠীগুলো খ্রিস্টান, হিন্দু ও বৌদ্ধদের মতো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলার শিকার হয়েছেন আধুনিক মুসলিমরাও।
জিম বলেন, কয়েকদিন আগেও দুইজন রাজনৈতিক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনকে সামনে রেখে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
জিম ব্যাংকস বলেন, গণফোরামের নেতাও বলছিলেন যে জামাত থাকলে তিনি বিএনপিকে জোটে নেবেন না।
কংগ্রেসম্যান বলেন, উগ্রপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএসএআইডি ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরেকে বলা হয়েছে যেন এমন উগ্রবাদী গোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট কোনও সংগঠনকে সহায়তা করা না হয়।
বিগত নির্বাচনের সময় এমন গোষ্ঠীগুলো কিভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিলো উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন উন্নয়নশীল গণতান্ত্রিক দেশ। বিশ্বদরবারে তাদের অবস্থান জানাতে শুরু করে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামির মতো দলগুলো এই উন্নয়নের জন্য হুমকি।
কংগ্রেসম্যান বলেন, মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে খুবই ইতিবাচকভাবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র।
পিউ রিসার্চের একটি জরিপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৭৬ শতাংশ মানুষও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে ইতিবাচক।
জিম ব্যাংকস বলেন, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক উন্নতি হয়েছে। শান্তিরক্ষা মিশনের অংশ নেওয় বাংলাদেশি সেনাদের প্রশিক্ষণে ৩৬ লাখ ডলার সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসময় তিনি জাতিসংঘে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেনা সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
আলোচনা সভায় আরও অংশ নেন লিবার্টি সাউথ এশিয়ার সেথ ওল্ডমিক্সন, মিডল ইস্ট ফোরামের স্যাম ওয়েস্ট্রপ ও ইনভেস্টিগেটিভ প্রজেক্ট অন টেরোরিজম এর আভা শংকর। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন হাডসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক রাষ্ট্রদূত হুসাইন হাকানি।
/এসএফ