• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

জামায়াত নিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ভাবনা কী?

প্রকাশ:  ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৩ | আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১০:০৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোটের সাথে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা কীভাবে অংশ নেবেন সেটি বেশ কৌতূহল তৈরি করেছে। কারণ বিএনপি সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামের নতুন জোটের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি পুরোনো ২০ দলীয় জোটও রয়েছে। খবর: বিবিসি বাংলা।

সমীকরণ জটিল হওয়ায় আরেকটি কারণ হচ্ছে, বিএনপি ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্য শরীক দলগুলোর জামায়াতে ইসলামী বিরোধী অবস্থান রয়েছে।

বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ জানান, বিষয়টি নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। বিএনপির মধ্যে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে দুই ধরণের মতামত আছে। একটি অংশ মনে করছে যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচন করলে কোনো ক্ষতি নেই। আরেকটি অংশ মনে করে, ধানের শীষ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের নির্বাচন না করাই ভালো।

আসন ভাগাভাগির বিষয় নিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান এবং মির্জা আব্বাস এ কমিটির সদস্য।

আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে তারা বিভিন্ন দলের সাথে কথা বলবেন। এরপর সে কমিটি একটি খসড়া তৈরি করে স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠাবে। বিএনপি মনে করছে ১০ শতাংশ নিয়ে জোটের শরীক দলগুলোর সাথে জোরালো দরকষাকষি হতে পারে।

মওদুদ বলেন, যেখানে আমাদের ভালো প্রার্থী আছে সেটাকে আমরা চাইবো না যে বিসর্জন দিতে। একটা বিষয়ে সবাই একমত যে আমাদের এমন প্রার্থী মনোনয়ন দেয়া উচিত যার জেতার সম্ভাবনা আছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবে।

গত বুধবার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান বলেছিলেন, তারা জোটের ভিত্তিতেই নির্বাচনে অংশ নেবেন। তিনি ধারণা দিয়েছেন যে তাদের ৫০-৬০ জন এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন।

ঐক্যফ্রন্ট গঠনের সময় বিএনপি এর সাথে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আপত্তি তোলে ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা। বিএনপি যেন জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা ত্যাগ করে এমন পরামর্শও দেয়া হয় তাদের।

এরকম পরিস্থিতিতেও কোনো একটি আসনে ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই জামায়াতের নেতাকর্মীরা কাজ করবেন বলে নিশ্চিত করেন শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যকে যদি সফল করতে হয় তাহলে সবাইকে বড় মনের পরিচয় দিতে হবে।

একইভাবে যেসব আসনে জামায়াতের নেতারা প্রার্থিতা করবেন, সেসব আসনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তবে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের কোন ভাবনা নেই বলে উল্লেখ করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা এবং গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।

তিনি বলেন, এখানে জামায়াতে ইসলামী আসার কোনো সুযোগ বা সম্ভাবনা আছে বলে আমরা মনে করছি না। জামায়াতে ইসলামীর দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারলেও তাদের নেতারা নিবন্ধিত দলের প্রতীক কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন।

যেখানে জামায়াতে ইসলামীর নেতারা প্রার্থী হবে সেখানে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দেবে কি না? এমন প্রশ্নে সুব্রত চৌধুরী বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যেখানে প্রার্থী দেবে সেখানে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ৩০০ আসনে সর্বসম্মতভাবে প্রার্থিতা ঘোষণা করা হবে।

/অ-ভি

জামায়াত,বিএনপি,ঐক্যফ্রন্ট,ভাবনা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close