• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কেঁদে লাভ আছে?

প্রকাশ:  ১৯ মার্চ ২০১৮, ২০:৩৬ | আপডেট : ১৯ মার্চ ২০১৮, ২০:৫২
স্পোর্টস ডেস্ক

ঘরের মাঠে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই রানে হারের কষ্টটা নিশ্চয়ই এখনো ভুলতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সমর্থকরা।মুশফিককে বুকে জড়িয়ে সাকিবের কান্না আর চোখের পানিতে রচিত হয়েছিলো মিরপুরের সেই মহাকাব্য।

বড় বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলা আর হারা হয়তো সয়ে গেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। সেবারই প্রথম ডুকরে কেঁদেছিলেন সাকিব। এর পর থেকে মাঠের ভেতরে কিংবা বাইরে, কিংবা হোক সংবাদ সম্মেলনে, সাকিবের আবেগী আচরণ আর দেখা যায়নি।

সম্পর্কিত খবর

    গতকালের ফাইনালে হারের পরও নির্লিপ্ত সাকিবকে দেখেছেন সবাই। আজ যখন দেশে ফিরলেন যথারীতি স্বাভাবিক সাকিবকেই দেখলেন সবাই।

    সংবাদকর্মীরা যখন তার কাছে হারের পর অনুভুতির কথা জানতে চাইলেন, তখন নির্লিপ্ত সাকিব বলেন, ‘এখন কি করব? কেঁদে লাভ আছে? কি হবে? আবেগ থাকে, থাকতে পারে। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে আসলে কিছু আর করার নেই। হয়তো শিখতে পারি। পরের বার আবার সুযোগ পেলে হয়তো চেষ্টা করতে পারি। আমরা বেশ কটি ফাইনাল হারলাম এ রকম। বেশিরভাগই ক্লোজ ছিল। সবচেয়ে ক্লোজ হয়তো এশিয়া কাপেরটা (২০১২ সালে) ছিল, এটা হয়তো আরও ক্লোজ হলো। এভাবেই তো এগোচ্ছি!’

    গড়গড় করে বলে দেওয়া কথাগুলো মাঝেই লুকিয়ে আছে অনেক হতাশা, আক্ষেপ, বেদনার অনুভুতি। তবে এই অনুভুতিগুলোই এখন তাদের প্রেরণা। তবে বড় ম্যাচ হারার পর কথা ওঠে স্নায়ুর চাপ কিংবা মানসিকশক্তির ঘাটতি নিয়ে।

    সাকিবকে এই বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এটা কি স্নায়ুর চাপ নাকি ভাগ্য, সেটা বলা মুশকিল। ধরেন, এক ওভারে ৯ রান দরকার ছিল (২০১২ এশিয়া কাপের ফাইনালে), খুব বেশি কিন্তু নয়, হয়নি। আবার কালকে শেষ বলে ৫ রান, বেশিরভাগ সময়ই করা যায় না। ১০ বারের মধ্যে হয়ত ৬-৭ বারই বোলার পারবে। শেষ ২ ওভারে ৩৫ রান থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই বোলিং দলের জেতার কথা। স্রেফ কাল হয়নি। এটাকে আমি স্নায়ুর চাপ বলব না। ওদের ব্যাটসম্যান বেশি ভালো খেলেছে। ভাগ্যও ছিল না পক্ষে’

    ফাইনালে বাংলাদেশের হারের ইতিহাস পাতায় নতুন অধ্যায় যোগ করেছে শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল। দিনেশ কার্তিকের ছয়ে জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশের। একটা ট্রফি হয়তো জিততে পারতো বাংরাদেশ। কিন্তু সেটাও হয়ে গেল অধরা। হতাশা থাকলেও সাকিব তার মধ্যে খুঁজে নিয়েছেন ইতিবাচকতা।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close