• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মোস্তাফিজদের দারুন বোলিংয়ে রাজশাহীর জয়

প্রকাশ:  ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:২১
স্পোর্টস ডেস্ক

১৭তম ওভারে আবার এলেন মোস্তাফিজ। তাঁর বল কোনোভাবেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না আফ্রিদি। সরে, এগিয়ে এসে, দাঁড়িয়ে—নানা ভাবেই খেলার চেষ্টা করলেন কিন্তু ব্যাটে বলের ছোঁয়াটাও দিতে পারছিলেন না। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে ব্যাটের ছোঁয়াটা পেলেন কিন্তু পেলেন মাত্র ১ রান। আম্পায়ারের দেওয়া প্রশ্নবিদ্ধ এক ওয়াইডসহ এ ওভার থেকে এসেছে তিন রান! মোস্তাফিজের ৯ বল খেলে আফ্রিদি পেয়েছেন মাত্র ২ রান! মোস্তাফিজদের দারুন বোলিংয়ে তারকা ভরপুর কুমিল্লাকে ৩৮ রানে হারিয়েছেন রাজশাহী।

দুর্দান্ত ব্যাটিং এরপর দুর্দান্ত বোলিং। ফল স্বরূপ জয় পেয়েছে মেহেদী মিরাজের রাজশাহী কিংস। তারকা ভরপুর কুমিল্লাকে ৩৮ রানে হারিয়েছেন মেহেদী মিরাজরা। ১৭৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতেই সবকটি উইকেট হারায় কুমিল্লা।

৭ ম্যাচ খেলে চতুর্থ জয় পেল রাজশাহী। অন্যদিকে সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলা কুমিল্লা এটি তৃতীয় পরাজয়।

মিরপুরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহী ৩ উইকেটে ১৭৬ রান করে। জবাবে ১৮.২ ওভারে ১৩৮ রানে অলআউট হয় কুমিল্লা। ম্যাচসেরা হয়েছেন লরি ইভান্স।

বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন লরি ইভান্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের এই ওপেনার অপরাজিত ১০৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ইভান্সের ৬২ বলের ইনিংসটি সাঁজানো ছিল ৯টি চার ও ৬টি ছক্কায়।

২৩তম ম্যাচে এসে কোনো ব্যাটসম্যান প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকালেন। এর আগে সর্বোচ্চ রান ছিল সাব্বির রহমানের। সিলেট সিক্সার্সের ডানহাতি ব্যাটসম্যান রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৮৫ রান করেন।

৪০ বলে ফিফটি করেন ইভান্স। সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৬১তম বলে। রায়ান টেন ডেসকাটের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে রেকর্ড ১৪৮* রানের জুটি গড়েন ইংলিশ ব্যাটসম্যান ইভান্স। এর আগে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ রান ছিল রংপুর রাইডার্সের রুশো ও বোপারা জুটির দখলে। খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ১০৪* রান তুলেছিলেন তারা। ইভান্স সেঞ্চুরি করেন। ডেসকাট ৪১ বলে অপরাজিত ৫৯ রান করেন।

আগুনে বোলিং করলেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। রাজশাহী কিংসের এই পেসার এক ওভারে ৩ উইকেট শিকার করেন। ১৭ ওভার শেষে কুমিল্লা সংগ্রহ ছিল ১৩৫/৬। উইকেটে ছিলেন আফ্রিদি ও ডসন। ১৮তম ওভারে বিধ্বংসী বোলিং করেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। প্রথম বলে আফ্রিদিকে ফেরান সাজঘরে। তৃতীয় বলে তার শিকার ডসন। চতুর্থ বলে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন এই পেসার। ওই ওভারে মাত্র ৩ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন রাব্বী।

১৮তম ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ ১৩৮/৯। শেষ ১২ বলে জয়ের জন্য তামিমদের দরকার ছিল ৩৯ রান। তবে ১৮তম ওভারেই ম্যাচের ভাগ্য রাজশাহীর হাতে চলে আসে। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজ। দ্বিতীয় বলে তার শিকার মেহেদী হাসান।

কামরুল ইসলাম এর আগে ফেরান তামিম ইকবালকেও। তার বোলিং ফিগার ছিল ৩-০-১০-৪। আন্তর্জাতিক স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রাব্বীর এটি ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।

বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে আগের তিন ম্যাচে রাব্বীর শিকার ছিল ২/২২, ০/১৬ এবং ১/২৪। চতুর্থ ম্যাচে এসে নিজেকে মেলে ধরলেন ২৭ বছর বয়সী রাজশাহী কিংসের ডানহাতি পেসার।

বলে রাখা ভালো, বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে এটিই সেরা বোলিং ফিগার। আগেরটি ছিল মাশরাফির দখলে। কুমিল্লার বিপক্ষে ৮ জানুয়ারি ঢাকায় মাশরাফির শিকার ছিলো ৪-১-১১-৪।

সবমিলিয়ে বিপিএল ইতিহাসে এক ইনিংসে সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড মোহাম্মদ সামির দখলে। ২০১২ আসরে রাজশাহীর এই পেসার ঢাকার বিপক্ষে ৩.২ ওভারে ৬ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার করেন। এ তালিকায় তিনে আছেন সাকিব আল হাসান (৩.৫-০-১৬-৫)।

পিবিডি/আরিফ

মোস্তাফিজ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close