• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের লুটপাট থামছে না

প্রকাশ:  ১৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৫১
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজে দীর্ঘদিন ধরে চলা লুটপাট থামছে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরও গত দেড় বছরে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ব্যবস্থা নেবেন-এমন প্রত্যাশা অভিভাবকদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল অনিয়ম ও কলেজ পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সম্পর্কিত খবর

    এরপর অ্যাডহক কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় প্রভাবশালী মোতাহার হোসেন মোল্লা ও সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী। এর মধ্যে মোতাহার হোসেন মোল্লা ২০০৭ সালে ৭৩৯০ নং দলিলে কলেজের এসএ ৪৫৫ ও ৪৫৬ নং দাগের ১৫ শতাংশ জমি বিক্রি করে অর্থ আত্মসাত করেছেন।

    এ ছাড়া তিনি কলেজটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন ব্যাপক অনিয়ম হয়। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে লেখালেখি হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পর্ষদ ভেঙে তদন্ত কমিটি গঠন করে। আর এডিসি দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম সভায় বিগত পাঁচ বছরের আয়-ব্যয়ের অডিটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে তা চাপা পড়ে যায়।

    একই সাথে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধারসহ সীমানা চিহ্নিত ও প্রাচীর বা কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশও বাস্তবায়ন হয়নি। গত ২০১২-২০১৩ সালের অডিটে প্রায় এক কোটি টাকার তথ্য গোপন করা হয়েছে। সে হিসাবে পাঁচ বছরে প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন শিক্ষকরা।

    এদিকে হাইকোর্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চিঠির কার্যকারিতা দুবার ছয় মাস করে এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন বলে জানান অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহ। তবে তার রিটে অ্যাডহক কমিটির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে। যা এখন বহাল নেই। এ অবস্থায় বর্তমান পর্ষদ ব্যবস্থা নিতে পারে বলে মত আইনজ্ঞদের।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close