• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মাদ্রাসায় শিশু ছাত্র বলৎকার

প্রকাশ:  ১৯ মার্চ ২০১৮, ১০:২৪
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাবেক বসুরহাট ক্যাডেট মাদ্রাসা বর্তমান দারুল ইহ্সান মাদ্রাসা, বসুরহাট-এ, শিক্ষক কর্তৃক নাবালক শিশু ছাত্রকে যৌন নির্যাতন (বলৎকার) করার অভিযোগ উঠেছে। যৌন নির্যাতনের শিকার, ওই ছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়।

১৮মার্চ রোববার সকালে মাদ্রাসার আবাসিক হলে এই ঘটনা ঘটে। নাবালক শিশু ছাত্রটি বিকেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে, তার পরিবারকে ঘটনাটি অবহিত করে। ছাত্রের অভিভাবকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক বসুরহাট ক্যাডেট মাদ্রাসা বর্তমান দারুল ইহ্সান মাদ্রাসা, বসুরহাট-এর আবাসিক হলে, তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র (৯) কে মাদ্রাসার ওই শিক্ষক ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার যৌন নির্যাতন (বলৎকার) করে।

সম্পর্কিত খবর

    একই দিন রাত ৮টায়, এক সালিশী বৈঠকে এলাকাবাসী, মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্রের অভিভাবক অভিযুক্ত শিক্ষক কে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে মারধর করেন। এই সালিশী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ছায়দল হক বাবুল, দলিল লেখক আলা উদ্দিন বাদশা, মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম নীতিনির্ধারক মাওলানা মহিউদ্দিন প্রমূখ।

    অভিযুক্ত শিক্ষক শহীদুল ইসলাম (৩০), ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আবুলের পিতার বাড়ির, আবদুল হক’র ছেলে। মাদ্রাসার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার ভয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের হাতে সোপর্দ করেননি। এ প্রতিবেধক সরেজমিন, ঘটনাস্থলে গেলে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। বরং তারা এ প্রতিবেধককে আর্থিক ভাবে সম্মান করার ইঙ্গিত ও আশ্বস্ত করেন।

    সাবেক বসুরহাট ক্যাডেট মাদ্রাসা বর্তমান দারুল ইহ্সান মাদ্রাসা,বসুরহাট- এ কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, একাধিক শিক্ষকের একাধিক ছাত্রকে যৌন নির্যাতন (বলৎকার) এর একাধিক ঘটনা এই মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ ধামাচাপা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার এক শিক্ষক জানান, এক বছরের মধ্যে বিভিন্ন যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মাদ্রাসা থেকে ৩ জন শিক্ষককে ছাঁটাই করা হয়েছে।

    অভিযোগ উঠেছে, বর্তমান এই ঘটনা দফারফা করতে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদ স্থানীয় কর্তা ব্যক্তিদের নগদ অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করতে হচ্ছে। এ সময় এলকাবাসী উত্তোজিত হলে মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের একাধিক কর্মকর্তা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ ও অফিস কক্ষ থেকে পালিয়ে যায়।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close