বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমসে যাত্রী হয়রানি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
বেনাপোল চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক কাস্টমসে দায়িত্ব থাকা কাস্টমস সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তারেক এহসান ও মোঃ হাসান নামে দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট যাত্রীদের ল্যাগেজ চেকিং এর নামে যাত্রীদের হয়রানি ও মালামাল বেশি আছে এই অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা বলে অভিযোগ উঠেছে ।
সরেজমিনে বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্র রোববার সকাল ১০টায় গিয়ে দেখা যায় পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারত থেকে এসে ইমিগ্রেশনের অফিসিয়াল কাজকর্ম শেষে কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্র প্রবেশের সাথে সাথে সাদা পোশাকে দাঁড়ানো দুই অফিসার যাত্রীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে ব্যাগ তল্লাশি শুরু করছে।
সম্পর্কিত খবর
ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী দিপক মন্ডল পাসপোর্ট নং এইচ ৯১৬২৯৩০, সে সাংবাদিকদের জানান, ভারত থেকে এসে ইমিগ্রেশন কাজ শেষ করে কাস্টমস চেকিং এর প্রবেশ করলে সেখানে সাদা পোশাকে থাকা দুইজন আমার ব্যাগ তল্লাশি শুরু করে। পরে ব্যাগে থাকা ৩টি শাড়ি, ২টি থ্রিপিস ও বাচ্চাদের ৩ সেট জামা এগুলো নেয়া যাবে না বলে জানান।
পরে ব্যাগটি একটি রুমে নিয়ে ১হাজার টাকা দাবি করেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হাসান এর পরেই উক্ত রুমে আসেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তারেক এহসান দুইজন মিলে ৮শ টাকা নিয়ে আমাকে ছেড়ে দেন।
একই কথা বলেছেন ঢাকার আমদানি-রফতানি কারক সাইফুল ইসলাম পাসপোর্ট নং এডি৫৬৮২৩৬৮ তিনি জানান বৈধ পথে ভারতে থেকে দেশে ফেরার সময় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক কাস্টমসে ব্যাগ তল্লাশিকালে বাসার জন্য আনা কিছু মালামাল দেখে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা তারেক এহসান ও মোঃ হাসান ৭শ টাকা দাবি করে পরে ৫শ টাকায় রফা হয়।
এই দুইজন কর্মকর্তা ডিউটি করার সময় বুকে ন্যাম প্লেট ব্যবহার করার নিয়ম থাকলেও তারা কোনো ন্যাম প্লেট ব্যবহার করে নাই। এটা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনের সিসি ক্যামেরা চেক করলে সব দেখা যাবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন একদিকে কাষ্টমস অন্যদিকে বিজিবির পদে পদে হয়রানিতে আমরা সাধারণ ভ্রমণ পিপাসুরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি, উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে এই সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাতায়াতের জন্য আস্তে আস্তে যাত্রী পাওয়া যাবে না, তখন সরকার হারাবে ভ্রমণ রাজস্ব ৷
এ ব্যাপারে বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমসে রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল রাজ্জাক বলেন পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি ও ঘুষ নেওয়ার ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সেটা কমিশনারের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পি.এস