• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

খেলার মাঠ নয় এ যেন পুকুর!

প্রকাশ:  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২০:০৯
তপু আহম্মেদ, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে পানিতে তলিয়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই। অবহেলা আর চোখের জলে দীর্ঘদিন ধরে ভাসছে মাঠটি। উপজেলা পরিষদ মাঠটি পৌরসভার অধীনের কথা জানালেও পৌরকর্তৃপক্ষ বলছে এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। উপজেলা পরিষদ ও পৌর কর্তৃপক্ষের রশি টানাটানিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ ক্রীড়া প্রেমীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যে সময়টা ক্রিকেট বা ফুটবল লেখায় মগ্ন থাকার কথা অথচ এই মাঠের কারণে তাদেরকে সময় দিয়ে হচ্ছে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার আড্ডা অথবা রাস্তার ধারে মোবাইল ফোনে। এই আড্ডা থেকেই শিক্ষার্থীরা নেশার জগতে পা রাখছে।

বিকেল হলেই এই মাঠে দেখা যেত পৌর এলাকা ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নানা বয়সী ক্রীড়াপ্রেমীদের। এছাড়াও বড় ধরণের সভা, সমাবেশ ও নিয়মিত সব ধরণের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয় এই মাঠে। অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিশাল এ মাঠটির যেন এখন অভিভাবকশূন্য। অল্প বৃষ্টি হলেই মাঠটিতে জমে হাঁটু পানি। আর বর্ষা মৌসুমে থাকে কোমর পানি, যা মাছ চাষ ও বোরো ধান চাষের জন্য উপযোগী হয়ে এখন খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যার ফলে ক্রীড়াপ্রেমীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

বাসাইল পশ্চিমপাড়ার কৃতি সন্তান ব্রাদার্স ফুটবল দলের সাবেক দলপতি ইউসুফ আলী খান বলেন, বাসাইল উপজেলায় ফুটবল খেলোয়ার তৈরি হওয়ার মতো অনেক প্রতিভা রয়েছে। শুধুমাত্র উপযোগি একটি মাঠের অভাবে খেলোয়ার তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। যে মাঠটি রয়েছে সেটি অনুশীলনের উপযোগি নয়। তারপরও এই মাঠে কাজ চালিয়ে নিতাম। মাঠটি সামান্য বৃষ্টি ও বর্ষার পানির কারণে অনুশীলনের সেসুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে খেলোয়াররা। জরুরি ভিক্তিতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির কাছে মাঠ সংস্কারের জোর দাবি জানান তিনি।

বাসাইল পৌরসভার মেয়র আব্দুর রহিম আহমেদ বলেন, মাঠটি উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে। এখনও পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে দেওয়া হয়নি। পৌরসভার নিয়ন্ত্রণে দেওয়া হলে সারা বছর মাঠটিতে খেলার উপযোগি করা যেতো। মাঠটি ভরাট করা জরুরি বলেও তিনি মনে করেন।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম বলেন, মাঠটি পৌর সভার আওতায় তার পরও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে কিছু কাজ করেছি। মাঠ ভরাটের বিষয়টি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দেখবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, মাঠটি ভরাট করা অতিজরুরি। খেলাধুলা ছাড়াও সরকারি সকল অনুষ্ঠানগুলো এই মাঠেই করা হয়। পুরো মাঠটি ভরাটের ক্ষেত্রে অনেক টাকার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে কিছু মাটি ফেলা হয়েছে। খুব শিঘ্রই মাঠটি ভরাটের পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

টাঙ্গাইল,খেলার মাঠ

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close