লকডাউনে বাধ্য হয়ে ‘অপছন্দের’ পাত্রকে বিয়ে
ছবি দেখে ভালো না লাগলেও পাত্রের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন এক চীনা তরুণী। কিন্তু পাত্রের বাড়িতে যাওয়ার পর পরই শুরু হয়ে যায় লকডাউন। এরপর বাধ্য হয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় তাকে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ছোট শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বহু দিনের রীতি হলো, বাড়ি থেকে ঠিক করা পাত্রের বাড়িতে যাবেন পাত্রী। সেখানে পাত্রের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলার পাশাপাশি হবু শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গেও হবে পরিচয়। সেই রীতি মেনেই বিয়ের আলাপ চলা ‘অপছন্দের’ পাত্র ফেইয়ের সঙ্গে দেখা করতে জিয়ানয়াং শহরে গিয়েছিলেন চীনের শানসি প্রদেশের ২৮ বছরের তরুণী ঝাও জিয়াওকিং।
সম্পর্কিত খবর
গত ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিমু নিউজকে ঝাও বলেন, সেখানে আমি কখনই রাতে থাকার কথা ভাবিনি। কেননা বিষয়টি আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল। কিন্তু বাধ্য হয়ে থাকতে হয়েছে।
ফেইয়ের বাসায় গিয়ে লকডাউনে আটকা পড়ে সেখানে থাকতে হয় ঝাওকে। যদিও প্রথমে ফেইয়ের ছবি থেকে পছন্দ তেমন হয়নি ঝাওয়ের। লকডাউনের সময় ঝাও ও ফেই আরও কাছাকাছি আসেন। একে অপরকে ভালোবাসতে শুরু করেন। শেষে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। করছেন বিয়েও।
নিজের জীবনসঙ্গীকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ঝাও বলেন, ‘আমি অনলাইনে আপেল বিক্রি করি। এ জন্য আমাকে অনেক রাত জেগে কাজ করতে হয়। গোটাটাই নির্ভর করে অনলাইন বাজারের ওপর। আমি যখন রাত জেগে কাজ করি, ফেই আমার জন্য জেগে বসে থাকে। মাঝে-মধ্যেই গরম কফির কাপে আমাদের বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়েছে। আমি ফেইকে পেয়ে খুব খুশি।’
পূর্বপশ্চিম/এসকে