• রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

কে এই মুশকান খান?

প্রকাশ:  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৫০ | আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৫৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ভারতের কর্নাটক রাজ্যে হিজাব পরে কলেজে যাওয়ার জন্য হিন্দু উগ্রবাদীদের হাতে হেনস্তার শিকার হওয়া কলেজ ছাত্রী মুশকান খানকে নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। প্রতিকূল পরিবেশে তার সাহসী ভূমিকা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল আলোচনা।

সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বোরকা-হিজাব পরে স্কুটি চালিয়ে কলেজে আসেন মুশকান। তখন গেরুয়া উত্তরীয় পরা যুবকেরা তার দিকে তেড়ে আসেন এবং ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেন। এ সময় মুসকান সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সামনে হেঁটে আসেন। পেছনে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে যুবকদের আসতে দেখে মুসকান ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দেন। সেখানে মুসকানকে বাঁচাতে দুজনকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়।

সম্পর্কিত খবর

    ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই তরুণীর নাম মুশকান খান। কর্নাটকের মান্ডি এলাকার একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির বাণিজ্যিক বিভাগের ছাত্রী তিনি।

    ওই সময়কার বর্ণনা দিয়ে মুশকান বলেন, আমি ভয় পাইনি। কলেজে ঢোকার সময় আমি বোরকা পরা দেখে তারা আমাকে ঢুকতে দিতে চাইছিল না। তারা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকলে আমি ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে শুরু করি। কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকেরা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন এবং আমাকে সুরক্ষা দিয়েছেন।

    মুশকান বলেন, ওই যুবকদের বেশির ভাগ বহিরাগত। তারা কলেজের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। হিজাব নিয়ে কলেজের হিন্দু বন্ধুরা কিছু না বললেও বহিরাগত যুবকরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। গেরুয়া উত্তরীয় পরা যুবককের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কাছে শিক্ষার প্রাধান্য সবার আগে। কিন্তু তারা আমাদের শিক্ষা ধ্বংস করে দিতে চাইছে। আমরা হিজাব ও বোরকা পরে বহুদিন ধরেই কলেজে আসছি। কিন্তু হিজাব বিতর্ক গত সপ্তাহে শুরু হয়েছে। মুসকান আরও বলেন, হিজাব আমাদের একটি অংশ। মুসলিম মেয়ে হিসেবে এটা আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা হিজাব রক্ষার অধিকারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব।

    কর্নাটক রাজ্যে জনসংখ্যার ১২ ভাগ মুসলিম। মুসলিম ও হিন্দু শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি কর্নটাকের মুখ্যমন্ত্রী বি সি নাগেশ এক টুইটারে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে হিজাব বন্ধ করার আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে স্কুলের ড্রেস কোড করা হয়েছে। তবে কর্নাটকের ওই কলেজে ইসলামি স্কার্ফ নিষিদ্ধ করাকে মুসলিম শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারছে না। তারা এটাকে ভারতের সেক্যুলার সংবিধানে তাদের ধর্মবিশ্বাস নিশ্চিত থাকার আশ্বাসের ওপর আক্রমণ বলে মনে করছে।

    পূর্বপশ্চিম-এনই

    মুশকান খান
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close