• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ৭ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের অভিযোগ

প্রকাশ:  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:৩৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়া কিছু সৈন্য কমিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেও দেশটির বিরুদ্ধে আরও তৎপরতা বাড়ানোর অভিযোগ ওঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মস্কো সীমান্তে সাত হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, রাশিয়ার কথা ও কাজের মধ্যে কোনো মিল নেই। এস্টোনিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র অনুযায়ী, ইউক্রেন সীমান্তে ইতিমধ্যে আনুমানিক এক লাখ ৭০ হাজার রুশ সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। আরও দশটি সামরিক ইউনিট সেখানে আনা হচ্ছে। সে দেশের এই সংস্থার প্রধান মিক মারান মনে করছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বোমা বর্ষণ করে রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু অংশ দখল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মোট কথা রাশিয়া কোনো ভূমিকা ছাড়াই আচমকা হামলা শুরু করতে পারে বলে পশ্চিমা বিশ্ব আশঙ্কা করছে।

এমন হুমকির মুখে সামরিক জোট ন্যাটোও তৎপরতা বাড়াচ্ছে। বুলগেরিয়া, রুমেনিয়া, হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ায় নতুন সামরিক ইউনিট মোতায়েনের পরিকল্পনা চলছে। পোল্যান্ড ও বাল্টিক সাগরের দেশগুলিতে আগেই এমন ‘কমব্যাট ইউনিট' পাঠানো হয়েছে। সংঘাত শুরু হলে এমন ইউনিটের সৈন্যরা দ্রুত প্রতিরোধ চালাতে পারবে এবং বাড়তি সৈন্য পাঠানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যাবে।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনে লামব্রেশট বলেন, দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে পূর্ব সীমান্তে ন্যাটো আরও সক্রিয় হবার কথা ভাবনা-চিন্তা করছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। ইউক্রেনও রাশিয়ার সহযোগী দেশ বেলারুশ সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আরও সৈন্য মোতায়েন করছে। গোটা দেশে সামরিক মহড়া চলছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বুধবার টেলিফোনে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। উত্তেজনা কমাতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাবার পাশাপাশি তারা অ্যাটলান্টিকের দুই প্রান্তের মধ্যে সমন্বয় চালিয়ে যাবার গুরুত্ব তুলে ধরেন। দুজনেই মনে করেন, যে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার ঝুঁকি এখনো দূর হয়নি। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে এলে সে বিষয়ে আরও আলোচনা হবার কথা।

পূর্বপশ্চিম-এনই

রাশিয়া
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close