• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

রহস্যমানব

প্রকাশ:  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:৩৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত নাম। তাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টই বলা যায় তাকে। মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন সর্বদাই। কিন্তু নিজেকে তিনি মুড়িয়ে রাখেন রহস্যের আবরণে। মহাক্ষমতাধর এই মানুষটির অন্তরালের জীবন কেমন। তার জীবনের নানা ঘটনা এ প্রতিবেদন।

সাবেক সফল গুপ্তচর পুতিন ছিলেন ঝুঁকি নেওয়ার জন্য বিখ্যাত। বাবা ছিলেন সিক্রেট পুলিশ। পুতিন বড়ই হয়েছেন সিক্রেট এজেন্ট হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে। তাই কলেজ শেষ করেই সরাসরি যোগ দেন কেজিবিতে। ১৯৯১ সালে পতন হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের। তার সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যায় কেজিবিও।

১৯৫২ সালের অক্টোবরে লেনিনগ্রাদে জন্ম পুতিনের। তার দাদা স্পিরিদন পুতিন ছিলেন লেনিন ও স্ট্যালিনের বাবুর্চি। রাশিয়ার সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার আগে-পরে পুতিনের জীবনের সিংহভাগ অংশই রহস্যের চাদরে মোড়ানো। যদিও মাঝেমধ্যে তার এ জীবন সম্পর্কে জানা যায়।

চাকরিতে ঢোকার কয়েক বছর পরেই পুতিনের দেখা হয় লুদমিলা আলেকসান্দ্রোভনা ওখেরেতনায়ার সঙ্গে। লুদমিলা ছিলেন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট। তার প্রেমে পড়ে যান গুপ্তচর পুতিন। ১৯৮৩ সালে বিয়ে করেন দুজনে। তুমুল গোপনীয়তা বজায় রেখে ব্যক্তিগত জীবন কাটানো পুতিন ২০১৩ সালে লুদমিলার সঙ্গে ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন।

শোনা গেছে, গত দশকে সাবেক অলিম্পিক জিমন্যাস্ট অ্যালিনা কাবিয়াভার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন পুতিন। এমনকি তার সঙ্গে এক সন্তানও আছে রুশ প্রেসিডেন্টের। সম্প্রতি বিবাহিত রুশ নারীদের মতো ডান হাতের অনামিকায় একটি আংটি পরে টিভির পর্দায় হাজির হন অ্যালিনা। এ দৃশ্য প্রচার হওয়ার পর থেকে দেশটিতে গুজব ডালপালা মেলে।

প্রকৃতিতে ঘুরে বেড়ানো, কিংবা আইস হকি খেলার বা শিকার করার ছবি প্রকাশ করেন প্রায়ই। সোভিয়েত রাশিয়ার খোঁয়ারি এখনও কাটাতে পারেননি বলেই বোধহয় কেজিবির এজেন্টদের ভঙ্গিমায় হাঁটেন পুতিন। আর শত্রুদের তিনি প্রায়ই নাটকীয় পদ্ধতিতে শাস্তি দেন। গানবাজনাও টুকটাক পছন্দ করেন পুতিন। ২০১০ সালে সেইন্ট পিটার্সবার্গে এক দাতব্য অনুষ্ঠানে তিনি পিয়ানো বাজান এবং গান গেয়েও শোনান।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

পুতিন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close