• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কে এই মিখাইল গর্বাচেভ?

প্রকাশ:  ৩১ আগস্ট ২০২২, ১০:৫১ | আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২২, ১১:০২
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার রূপকার বলা হয় তাকে। ৯১ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে সোভিয়েতের শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ। তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

১৯৮৫ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার ক্ষমতা পেয়েছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ এবং তার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি স্নায়ু যুদ্ধ শেষ করতে বড় ভূমিকা রাখে। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে সোভিয়েত রিপাবলিকের ঘোষণার পর ১৯৯১ সালে সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবসর নেন্

মিখাইল সের্গেইভিচ গর্বাচেভ ২ মার্চ ১৯৩১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন রুশ রাজনীতিবিদ, যিনি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রধান নেতা এবং একমাত্র প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পূর্ববর্তী কনস্তান্তিন চেরনেনকোর মৃত্যুর পর ১৯৮৫ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেন এবং দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান নেতা নিযুক্ত হন।

১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিজমের পতন হলে তিনি দেশটির প্রথম এবং একমাত্র প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। ১৯৯১ সালের ২৫ ডিসেম্বার সোভিয়েতের ইউনিয়নের আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তির দিন তিনি পদত্যাগ করেন। গর্বাচভের পদত্যাগের মধ্য দিয়েই বিশ্বে চার দশক ধরে চলা স্নায়ুদ্ধের সমাপ্তি হয়। তিনি পেরেস্ত্রোইকা ও গ্লাসনস্ত নীতির প্রবর্তক।

১৯৮৪ সালে ৫৩ বছর বয়সে কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হন গর্বাচেভ। আবার এই সোভিয়েত নেতার সময়েই মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ জুড়ে কমিউনিজমের পতন ঘটেছিল। লক্ষ লক্ষ সোভিয়েত নাগরিকের কাছে তিনি স্বাধীনতা প্রদানকারী ত্রাণকর্তা হিসাবে পরিচিত ছিলেন।

আবার দেশের পরবর্তী বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য তার সমালোচনা করেছেন বহু নেতা। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে গর্বাচেভ আখ্যায়িত হন ইতিহাসের এক ‘কলঙ্কিত নায়ক’ হিসাবে।

বার্লিন প্রাচীরের পতন রোধে শক্তি প্রয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গর্ভাচেভ। তার সিদ্ধান্ত ছিল এতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এড়ানো যেতে পারে। ঠান্ডা যুদ্ধের দুনিয়ায় বার্লিন প্রাচীর তখন একটা প্রতীক। পশ্চিমে গণতন্ত্র, শান্তি। পূর্বে দারিদ্র ও একনায়কত্ব।

পাঁচিল তৈরির পরই পশ্চিম বার্লিনে দাঁড়িয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনেডি বলেছিলেন, ‘আমি নিজেকে বার্লিনের নাগরিক মনে করি। এই দুনিয়ায় মুক্ত মানুষ মানেই বার্লিনের লোক।’

পাঁচিল ভেঙে যাওয়ার দু’বছর আগে ব্রান্ডেনবুর্গ গেটে রোনাল্ড রেগনের বিখ্যাত বক্তৃতা ছিল, ‘মিস্টার গর্বাচভ, এই গেট খুলে দিন। ভেঙে ফেলুন পাঁচিল।’

পূর্বপশ্চিম/ম

গর্বাচেভ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close