ক্রিমিয়ায় হামলার দায় স্বীকার ইউক্রেনের
রাশিয়া অধিকৃত উপদ্বীপ ক্রিমিয়ায় রুশ বাহিনীর বিমানঘাঁটিতে ধারাবাহিক হামলার দায় স্বীকার করেছে ইউক্রেন। গত মাসে চালানো এসব হামলায় একটি সামরিক স্থাপনার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ভ্যালেরি জেলুঝনি ওই দায় স্বীকার করেন। ইউক্রেইনের আইনপ্রণেতা মিখাইলো জেব্রোডস্কির সঙ্গে সহলেখক হিসেবে লেখা এক নিবন্ধে জেলুঝনি জানান, হামলাগুলো ক্ষেপণাস্ত্র অথবা রকেট দিয়ে চালানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তারা।
সম্পর্কিত খবর
রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা উক্রিনফর্মে নিবন্ধটি লেখা হয়েছে। এর আগে ক্রিমিয়ায় হামলার ব্যাপারে তারা জড়িত বলে শুধু ইঙ্গিত দিয়েছিল কিয়েভ। কিন্তু দায় স্বীকার বা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি সে সময়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটিগুলোতে যে বিস্ফোরণগুলো ঘটেছে, তা সেখানে থাকা ইউক্রেনীয় নাশকতাকারীদের কাজ।
নিবন্ধটিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার নাগরিকদের থেকে যুদ্ধকে ‘দূরে’ রাখার কৌশল নিয়েছে মস্কো।
এতে জেলুঝনি ও জেব্রোডস্কি লিখেছেন,‘শত্রুতাকে ক্রিমিয়ায় পাঠানোর ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সফল প্রচেষ্টা ছিল সেগুলো। আমরা ক্রিমিয়ায় থাকা শত্রুর বিমানঘাঁটিগুলোর বিরুদ্ধে চালানো ধারাবাহিক সফল রকেট হামলা নিয়ে কথা বলছি। এগুলোর প্রথমেই আসে সাকি বিমানক্ষেত্রের কথা।’
নিবন্ধের পাদটিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ৯ আগস্ট সাকি বিমানক্ষেত্রে হামলা চালানো হয়, আর সেটি ছিল একটি ‘সম্মিলিত আক্রমণ’ এবং এতে রাশিয়ার ১০টি যুদ্ধবিমান ‘অকেজো হয়ে যায়’।
তবে সে সময় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল, অবহেলার কারণে ঘাঁটিতে বিমানের যুদ্ধাস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ক্রিমিয়ার কর্মকর্তারা জানান, ওই বিস্ফোরণে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।