• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

রুশ কয়েদিদের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠাতে মরিয়া রাশিয়া

প্রকাশ:  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:৩৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার কারাগারগুলোতে আটক অপরাধীদের ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠনোর বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন দেশটির একটি ভাড়াটে গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। খবর: বিবিসি বাংলা।

রাশিয়ায় ওয়াগনার গ্রুপ নামে একটি ভাড়াটে সৈন্য দলের প্রধান হচ্ছে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন।

সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তিনি সৈন্য ভাড়া করার জন্য রাশিয়ার একটি কারাগারে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে তিনি বলেছেন, যারা যুদ্ধে যেতে চায় না, তাদের উচিত হবে তাদের সন্তানদের যুদ্ধে পাঠানো।

ফাঁস হয়ে যাওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কারাগারে গিয়ে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বন্দিদের উদ্দেশে বলছেন, যারা তার গ্রুপের জন্য ছয়মাস কাজ করবে তাদের মুক্ত করে দেয়া হবে।

ধারণা করা হয়, ওয়াগনার গ্রুপ ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করে আসছে।

ভিডিও ভাইরাল হবার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিগোজিন এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি যদি কারাগারে থাকতেন তাহলে ‘মাতৃভূমির ঋণ শোধ করার জন্য’ তিনি ওয়াগনার গ্রুপে যোগ দেবার স্বপ্ন দেখতেন।

তবে বিবৃতিতে ভিডিও সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। এই ভিডিও সত্যি কিনা সেটিও স্বীকার করা হয়নি বিবৃতিতে।

তবে বিবিসি এই ভিডিওটি যাচাই করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই একটা সন্দেহ ছিলো যে রাশিয়া কারাগার থেকে বন্দিদের রিক্রুট করে সৈন্য সংখ্যা বাড়াতে চায়। এই ভিডিওর মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত হওয়া গেলো।

সেনাবাহিনীতে কাজ করা কিংবা ভাড়াটে সৈন্য হিসেবে যোগ দেবার বিনিময়ে কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্ত করার বিষয়টি রাশিয়ার আইনে নেই।

কিন্তু ভিডিওতে প্রিগোজিন বলছেন, যারা ওয়াগনার গ্রুপের সাথে কাজ করবে, তাদের আর কারাগারে ফিরে যেতে হবে না।

‘তোমরা যদি ছয়মাস কাজ কর তাহলে তোমরা মুক্ত,’ বলেন প্রিগোজিন। কিন্তু তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, একবার যোগ দিলে মাঝপথে ফিরে আসা যাবে না।

‘ইউক্রেনে পৌঁছানোর পর তোমরা যদি সিদ্ধান্ত নাও যে এটা তোমার জন্য নয়, তাহলে আমরা তোমাদের মেরে ফেলবো,’ বলেন প্রিগোজিন।

ভিডিওটি দেখে মনে হচ্ছে একটি কারাগারের ব্যায়াম করার জায়গায় এটি ধারণ করা হয়েছে। তবে ভিডিওটি কে করেছে, কখন এবং কীভাবে করেছে এবং কীভাবে এটি প্রকাশিত হয়েছে - সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

ভিডিওটির উৎস সম্পর্কে খুঁজতে গিয়ে বিবিসি চিহ্নিত করেছে যে এটি রাশিয়ার সেন্ট্রাল মারিয়ে এল রিপাবলিক থেকে এসেছে।

চেহারা চিহ্নিত করার প্রযুক্তির সাহায্যে বোঝা যাচ্ছে রিক্রুটার ব্যক্তিটি হচ্ছেন প্রিগোজিন।

এর আগে ওয়াগনার গ্রুপ এবং প্রিগোজিনের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি চিহ্নিত করেছিলো বিবিসি।

প্রিগোজিন ভ্লাদিমির পুতিনের শেফ বা রাঁধুনি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কারণ তিনি ক্রেমলিনের জন্য তার রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সরবরাহ করতেন। সেখান থেকেই তার উত্থান হয়েছে। তবে অতীতে পুতিনের সহযোগীরা ওয়াগনার গ্রুপের সাথে সাথে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলো।

এই গ্রুপটির জন্ম কীভাবে, সেটি বেশ অস্পষ্ট। তবে ইউক্রেন, সিরিয়া এবং কিছু আফ্রিকার দেশে তারা ভাড়াটে সৈন্য নিয়োজিত করেছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

রাশিয়া,যুদ্ধ,ইউক্রেন,কয়েদি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close