শেষ পর্যন্ত কি সেনজেনভুক্তি হলো রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার
রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার সেনজেন জোনে প্রবেশের ১০ বছরের প্রতিক্ষার হতাশাজনক অবসান হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দুই দেশেরই সেনজেনে প্রবেশের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে সেনজেনে ঢুকতে ইউরোপীয় পর্যটনের হটস্পট ক্রোয়েশিয়া সবুজ সংকেত পেয়েছে।
যদিও ক্রোয়েশিয়ার আগেই রোমানিয়া ও বুলগেরিয়া ২০০৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেয়। উভয় দেশই ব্রাসেলস দ্বারা নির্ধারিত প্রযুক্তিগত মানদণ্ড পূরণ করেছে। দুই দেশকেই বিচার বিভাগীয় সংস্কার ও দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টার অগ্রগতি করতে বলা হয়েছিল এবং তাদের উন্নয়নও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।
সম্পর্কিত খবর
সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে উভয় দেশই আশাবাদি ছিল যে তাদের সেনজেনে ঢোকার প্রধান বাধা দূর হয়েছে। কিন্তু অস্ট্রিয়ার ভেটোর কারণে তারা এবারও সেনজেনে ঢুকতে পারলো না।
ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপে অভিবাসী আসাকে পছন্দ করছে না অস্ট্রিয়া। দেশটি বলছে, রোমানিয়া ও বুলগেরিয়াকে সেনজেনভুক্ত করলে অভিবাসী আসার প্রবণতা বাড়বে।
যদিও রোমানিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুসিয়ান বোডে যুক্তি দেন, অভিবাসী প্রবাহ প্রধানত সার্বিয়া দিয়ে আসে, রোমানিয়া দিয়ে আসে না।
এদিকে দীর্ঘ বিরোধিতার পর রোমানিয়াকে সবুজ সংকেত দেয় নেদারল্যান্ডস। একই সঙ্গে দেশটি বুলগেরিয়ার প্রতি ভেটো বজায় রাখে।
ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের চলাচলের ক্ষেত্রে পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না। এমনকি এক দেশ থেকে আরেক দেশে, ট্রাকসহ অন্য যানবাহন প্রবেশের ক্ষেত্রেও কোনো চেকপোস্ট নেই।ফলে সেনজেনে ঢুকলে রোমানিয়া ও বুলগেরিয়ার ট্রাকচালকদেরও ভোগান্তি কমত।
ইউরোপীয় কমিশন দীর্ঘদিন ধরেই একটি প্রশস্ত সেনজেনের প্রত্যাশা করে আসছেে।
রোমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোলাই সিউকা সেনজেনে প্রবেশের বিষয়ে অস্ট্রিয়ার ভেটোকে হতাশাজনক বলছেন। তিনি বলেন, অস্ট্রিয়ার প্রত্যাখ্যান ভুল পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে।
বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভও এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে।