সুদানে চলমান সংঘাতে নিহত ৪২০, আহত ৩৭০০
সুদানে চলমান সংঘাতে ৪২০ জন নিহত ও আহত হয়েছেন আরো ৩ হাজার ৭০০ জন। রোববার (২৩ এপ্রিল) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
১৫ এপ্রিল সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে লড়াই শুরু হয়। এ সংঘাতের এক পক্ষে রয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আছেন আরএসএফের প্রধান সাবেক মিলিশিয়া নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি।
সম্পর্কিত খবর
সংঘাতের কারণে রাজধানী খার্তুমে বাড়ির ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন লাখো বাসিন্দা। অনেকে খাবার ও পানির অভাবে রয়েছেন। দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ে দেশটিতে একটি মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, মার্কিন কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ১০০ জনকে তারা সরিয়ে নিয়েছে।
যুক্তরাজ্য জানায়, সুদান থেকে তারা ব্রিটিশ কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করেছে। জার্মানি ও ফ্রান্স গতকাল ঘোষণা করে, তারা তাদের নাগরিকসহ অন্যদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
ইতালি, নেদারল্যান্ডস, গ্রিসসহ অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো বলেছে, তারা উদ্ধারপ্রক্রিয়া শুরুর পরিকল্পনা করছে। তুরস্ক গতকাল ভোরে সড়কপথে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছিলো। কিন্তু পরে বিস্ফোরণের ঘটনার জেরে তা স্থগিত করা হয়।
ভারত, ঘানা ও লিবিয়া বলেছে, তারা তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছে। সুদান ছেড়ে কূটনীতিকসহ বিদেশিদের দলে দলে চলে যাওয়ার ঘটনা দেশটির নাগরিকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
তাদের ভাষ্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে কূটনীতিকেরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে পারতেন, কিন্তু তারা চলে গেলে কী হবে, তা নিয়েই তাদের উদ্বেগ।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম