সুদানে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত দুই পক্ষ
সুদানে লড়াইরত জেনারেলরা তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল সোমবার এ কথা বলেছেন।
দেশটিতে দুই পক্ষের মধ্যে ১০ দিনের লড়াইয়ে ৪২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি। জাতিসংঘের একাধিক সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
সংঘাতের মুখে ইতিমধ্যে কূটনীতিকসহ অনেক বিদেশি নাগরিক সুদান ছেড়েছেন।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সুদানের সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে ১৫ এপ্রিল লড়াই শুরু হয়। এই সংঘাতের এক পক্ষে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান। অপর পক্ষে আরএসএফের প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো ওরফে হেমেদতি।
সংঘাত থামাতে আগেও একাধিকবার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু এই চেষ্টা সংঘাত থামাতে ব্যর্থ হয়।
সবশেষ গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন ঘোষণা করেন, ৪৮ ঘণ্টা ধরে নিবিড় আলোচনার পর সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) ও র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ২৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সম্মত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতি অন্তত ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হবে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে ব্লিঙ্কেনের কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত বিবৃতিটি আসে। এর আগে গতকাল জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও আবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন।
দুই পক্ষের মধ্যে লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ মহাসচিব সতর্ক করে বলেন, সুদান এখন অতল গহ্বরের কিনারায় দাঁড়িয়ে।
সুদানের সংঘাত পুরো অঞ্চল, এমনকি অঞ্চলটির বাইরের এলাকাকেও গ্রাস করতে পারে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সুদানকে অতল গহ্বরের কিনারা থেকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের সবাইকে সাধ্যের মধ্যে সবকিছু করতে হবে।’
সুদান বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। বৈঠকটি মঙ্গলবার হতে পারে বলে জানিয়েছেন এক কূটনীতিক।