দল থেকে বহিষ্কার বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট
নিজের দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স। বুধবার (৪ অক্টোবর) দলটির কংগ্রেসে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। উপস্থিত নেতারা বলছেন, আগের দিন মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দলের আনুষ্ঠানিক এক বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে ‘নিজেই নিজেকে বহিষ্কার’ করেছেন লুইস। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
মুভমেন্ট ফর সোশ্যালিজম (মাস) দলের আরেক নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সঙ্গে সম্প্রতি লুইসের দ্বন্দ্ব বেড়েছে। ২০২৫ সালের নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব এর অন্যতম কারণ।
সম্পর্কিত খবর
মোরালেস ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা ১৪ বছর দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। নির্বাচনে সংবিধান লঙ্ঘন করে ও গণভোটের ফলাফলকে অস্বীকার করে টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন তিনি। যেখানে জয়লাভ করেছিলেন। তবে ওই নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ ও সেনাবাহিনীর চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এরপর দেশ থেকে পালিয়ে যান।
বলিভিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হলে এর এক বছর পর মোরালেসের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও নির্বাচিত প্রার্থী লুইস আর্সের অধীনে তাদের দলটি ফের ক্ষমতায় আসে।
এরপর থেকেই লুইস ও মোরালেসের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হয়। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে তারা উভয়ই ২০২৫ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অভিলাষী।
এদিকে মোরালেসের অভিযোগ হচ্ছে লুইস আর্সের সরকার ২০২৫ সালের নির্বাচনে তাকে অযোগ্য হিসেবে ঘোষণা করার চেষ্টা করছে। এমনও দাবি করছেন, অধিকাংশ নেতাই এখন সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দিতে শুরু করেছে।
অনেকেই মনে করছেন দেশটিতে পুনরায় রাজনৈতিক অস্থিশীলতা ফিরিয়ে আনছেন এই দুই নেতা। তারা একে অপরকে মাদক পাচার, দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন।
জানা গেছে, মোরালেসের শহর লাউকাতে গত মঙ্গলবার বৈঠকে উপস্থিত হননি লুইস আর্স। এর পরদিন মাস কংগ্রেস থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম