ব্রিটিশ অস্ত্র কারখানা ঘিরে ফিলিস্তিনি সমর্থকদের বিক্ষোভ
ফিলিস্তিনি সমর্থকরা ব্রিটিশ অস্ত্র কারখানা ঘিরে বিক্ষোভ করেছে। ওয়ার্কারস ফর এ ফ্রি ফিলিস্তিন ব্যানারে চার ব্রিটিশ অস্ত্র কারখানা ঘিরে এই বিক্ষোভ করেন বৃটিশ আন্দোলনকারীরা।
সম্পর্কিত খবর
আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী ও শিক্ষকসহ অন্যরা মিলে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদের বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা ৪টি অস্ত্র কারখানা ঘিরে ঘিরে ফেলেন।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, তারা বোর্নিমাউথ, লেংকাশির, ব্রাইটন ও গ্লাসগো অস্ত্র কারখানা অবরোধ করেন। এসব কারাখানায় এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তৈরি করা হয়। যেগুলো গাজায় অভিযানের জন্য ইসরায়েলি সেনারা ব্যবহার করে আসছে।
আন্দোলনকারীরা ইনস্টাগ্রামে জানান, আমরা ব্রিটিশ সরকারকে ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধের ব্যপারে সহায়তা সমাপ্ত করার আহ্বান জানায়। ব্রিটিশের তৈরি অস্ত্র সহায়তার মাধ্যমে ইসরায়েলের অভিযানে গাজায় বিপুল সংখ্যক লোক ভাঙনের মুখে পড়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের পর দক্ষিণেও স্থল অভিযান শুরু করেছে তাদের সেনারা। এর মধ্যে তারা ২০০তম সামরিক চালান পেয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ১০ হাজার টন সামরিক সরঞ্জাম পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেনাবাহিনীর অস্ত্রবাহী গাড়ি, অস্ত্র, সুরক্ষা সরঞ্জাম গোলাবারুদসহ অন্যান্য।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চালানের এসব অস্ত্র মার্কিন প্রকিউরমেন্ট মিশন কর্তৃক সহায়তা পেয়েছে ইসরায়েল। দেশটি ইসরায়েলের এই যুদ্ধে অন্যতম জোগানদাতা। তারা প্রতিবছর ৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা করে আসছে।
ইসরায়েল গাজায় স্থল অভিযান শুরুর আগে সেখানে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। দেশটির এই বিমান হামলায় অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান। তাদের সহায়তার এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।