• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করলেন নওয়াজ

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

পাকিস্তানে জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে নওয়াজ শরিফ নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দল। আর এই নতুন সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন শাহবাজ শরীফ।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইসলামাবাদে দলগুলোর নেতাদের বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি। তার পাশে উপস্থিত ছিলেন শাহবাজ শরিফ।

দুই বছর আগে এই দলগুলোই ইমরান খান সরকারকে উৎখাত করে পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠন করেছিল।

সদ্য সমাপ্ত পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে জল্পনা চলছিল, পিএমএল-এন ও পিপিপি থেকে কে হবেন সরকারপ্রধান? মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ছোট ভাই শাহবাজকে মনোনীত করার ঘোষণা দেন। যদিও এতদিন পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে নওয়াজ শরিফের কথা বলা হচ্ছিল। এ দিন পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীরও নাম ঘোষণা করা হয়। সেখানে দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন নওয়াজ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে পিএমএল-এনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মরিয়ম নওয়াজ বলেন, “শাহবাজের বড় ভাই নওয়াজ শরিফ তাকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছেন।”

মরিয়মের বক্তব্য অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফ মনে করেন, “তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরিফকে এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মরিয়ম নওয়াজকে নেপথ্যে থেকে সহায়তা করার পাশাপাশি দলীয় বিষয়গুলো সবচেয়ে ভালো দেখভাল করতে পারবেন।”

এদিকে জোট সরকার গঠনের বিষয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার পিপিপির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। এতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থিতা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিলাওয়াল। পিএমএল-এনের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন তারা। সরকার ও মন্ত্রীসভায় থাকার ইচ্ছাও নেই তাদের।

অপরদিকে পাকিস্তানের নির্বাচনের স্বচ্ছতার প্রশ্ন তুলেছেন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান খান। তিনি বলেন, “পাকিস্তানের জনগণ স্পষ্টভাবে তাদের রায় দিয়েছেন। আর এ কারণেই পাকিস্তানের নির্বাচনে গণতন্ত্র ও সুবিচারের একান্ত প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের প্রকাশ্য দিবালোকে ডাকাতি কেবল নাগরিকদের অসম্মানই করবে না, দেশের অর্থনীতিকে আরও নিচের দিকে ঠেলে দেবে।”

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫ আসনে ভোট হয়েছে। সরকার গঠনের জন্য জাতীয় পরিষদে অন্তত ১৩৪ আসন দরকার। কিন্তু কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই জোট সরকার গঠন করছে দেশটি।

জাতীয় পরিষদে ইমরান খান-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২ আসন জিতেছেন। নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন ৭৫ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ৫৪ আসন পেয়েছে। বাকি আসন পেয়েছে অন্যান্য দল।

পিএমএল-এনের নেতৃত্বে জোট সরকার গঠনপ্রক্রিয়ার অগ্রগতির মধ্যেই ইমরান খান-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে সরকার গঠনের আশা করছিল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

সোমবার দলটির চেয়ারম্যান গহর আলী খান বলেন, “কেন্দ্রে কিংবা খাইবার পাখতুনখাওয়া ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে ‘নিজেদের’ সরকার গঠন করবেন তারা।”

গহর খানের ওই মন্তব্যের পর গতকাল ইসলামাবাদে পিটিআই মুখপাত্র রউফ হাসান বলেন, “দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরানের নির্দেশনায় পাকিস্তানের কেন্দ্র ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদে সরকার গঠনে তারা মজলিস-ই-ওয়াহদাত-মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) সঙ্গে হাত মেলাবেন।”

আর খাইবার পাখতুনখাওয়ায় জামায়াত-ই-ইসলামির সঙ্গে জোট করবেন তারা। তবে পিএমএল-এন, পিপিপি ও এমকিউএম-পির সঙ্গে সমঝোতায় যাবেন না।

রাজনীতি,সরকার,পাকিস্তান
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close