আভদিভকা শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করল ইউক্রেন
পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর আভদিভকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইউক্রেন। সম্প্রতি কয়েক মাসে শহরটিকে ঘিরে তুমুল লড়াই হয়েছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এ কথা জানান ইউক্রেনের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি।
সম্পর্কিত খবর
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেন, “২০২৩ সালের মে মাসের পর আভদিভকা শহরে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি করেছে রাশিয়া। ওই বছর রুশ সেনারা বাখমুত শহর দখল করেছিল।”
সূত্র বলছে, গোলাবারুদের তীব্র ঘাটতি দেখা দেওয়ায় শহরটি থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়।
ইউক্রেন প্রশাসন জানায়, কংগ্রেসে কয়েক মাস ধরে মার্কিন সামরিক সহায়তা বিলম্বিত হওয়ায় ইউক্রেনে গোলাবারুদের তীব্র ঘাটতির দেখা দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে।
এরমধ্যে রুশ বাহিনী আভদিভকা শহরের চারপাশ ঘিরে ফেলবে এমন আশঙ্কার মধ্যে ইউক্রেনের সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়।
বড় ধরনের অস্থিরতার মধ্যে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী প্রধান হন জেনারেল ওলেক্সান্ডার সিরস্কি।
তিনি বলেন, “যুদ্ধের আগে ৩২,০০০ মানুষের বসবাস ছিল শহরটিতে। এবার ইউক্রেনের বাহিনীও প্রায় জনশূণ্য এই শহর ছেড়ে আরও নিরাপদ অবস্থানে ফিরে গেছে।”
সশস্ত্র বাহিনীর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আমি শহরটি থেকে আমাদের ইউনিটগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একইসঙ্গে চারদিক থেকে ঘেরাও হওয়ার আগেই সেনাদের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষায় আরও অনুকূল লাইন থেকে প্রতিরক্ষামূলক স্থানে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
বিবিসি জানায়, আভদিভকা প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ শহরকে দোনেৎস্কের প্রবেশদ্বার হিসেবে দেখা হয়। ২০১৪ সালে রাশিয়া-সমর্থিত যোদ্ধারা দোনেৎস্ক দখল করেছিল। পরে সেটিকে মস্কোর সাথে সংযুক্ত করা হয়।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু করে। প্রথমে ইউক্রেন শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু করে। প্রথমে ইউক্রেন শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র সরবরাহের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।
এ সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট প্রায় ৯,৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের সাহায্য প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। যার মধ্যে ইউক্রেনের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার কোটি ডলার। বিলটি এখনও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া বাকি।