• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রাখাইনের রামরি শহর দখলের দাবি আরাকান আর্মির

প্রকাশ:  ১৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৭ | আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৪, ২০:২৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

প্রায় তিন মাস তীব্র লড়াইয়ের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দ্বীপ শহর রামরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

মিয়ানমারে চীনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) খুব কাছেই শহরটির অবস্থান।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী বলছে, রামরি দ্বীপের দুটি শহরের একটি রামরি ও অপরটি কায়াকপায়ু। এই এলাকায় চীন ও জান্তা সরকারের যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কিউকফিউ গভীর সমুদ্রবন্দর। এটি চীনের রোড অ্যান্ড বেল্ট ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম, যেটি ভারত মহাসাগরে নেপিডোকে ইউনান প্রদেশের (চীন) সঙ্গে যুক্ত করেছে।

গত কয়েক মাসে কাইউকফিউ শহরে নিজেদের সক্ষমতা বাড়িয়েছিল জান্তার সৈন্যরা। কিন্তু নৌ ও স্থলভাগে তাদের কোনো প্রতিরোধই টিকতে পারেনি আরাকান আর্মির সামনে।

গোষ্ঠীটি গত সোমবার জানিয়েছে, রামরিতে ব্যাপক অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন ও বিমান হামলা চালানো হলেও জান্তাবাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

রামরির পতনের বিষয়ে জান্তাবাহিনী এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এর আগে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি যতবার বিভিন্ন শহর, গ্রাম বা অঞ্চল দখলের দাবি করেছে, তার সবগুলোই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।

আরাকান আর্মি জানিয়েছে, তারা রামরিতে জান্তাবাহিনীর সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। জান্তার আক্রমণে শহরটির সরকারি হাসপাতাল, বিদ্যালয়, বাজার, মার্কেট, ধর্মীয় স্থাপনার বড় একটি অংশই বিধ্বস্ত হয়েছে।

আরাকান আর্মি বলছে, পালিয়ে যাওয়ার আগে জান্তা সৈন্যরা বিভিন্ন স্থানে মাইন বোমা পুঁতে রেখেছে। এ কারণে স্থানীয়দের নিজ বাড়িতে বিলম্বে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি আরও বলছে, পরবর্তী লক্ষ্যবস্তু হিসেবে তারা রাথেডাং শহরে জান্তা ব্যাটালিয়ন সদর দফতর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে।

২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮০টি দুর্গ ও নয়টি শহর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই অবস্থায় রাখাইন রাজ্যে জোর করে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ শুরু করেছে জান্তা সরকার।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অং সান সুচির দলকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে জেনারেল মিন অং হ্লাইং নেতৃত্বাধীন সামরিক জান্তা।

এরপর থেকেই তাদের বিরুদ্ধে লড়ছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। যদিও ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিদ্রোহীরা একযোগে আক্রমণ শুরু করে। হারাচ্ছে একের পর এক সেনা ঘাঁটি।

আন্দোলন,আন্তর্জাতিক,মিয়ানমার,যুদ্ধ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close