• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সিএএর আবেদনে নথি দিতে না পারলে কী হবে, যা বললেন অমিত শাহ

প্রকাশ:  ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ) প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে না পারলে আবেদনকারীদের কীভাবে সাহায্য করা যায়, সে বিষয়ে সরকার পরে চিন্তাভাবনা করবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।

এই আইনে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে না পারলে নাগরিকত্বের আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। এই আইনে আবেদন করার প্রথম অর্থ হচ্ছে আবেদনকারী যে ভারতীয় নাগরিক নন, তা স্বীকার করে নেওয়া। সে জন্য তাঁকে হলফনামা দিতে হবে। প্রয়োজনীয় নথির অভাবে একবার আবেদন বাতিল হয়ে গেলে, সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় বর্তমান আইনে নেই।

এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। সংশয়ও প্রকাশ করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাই পরবর্তী বিবেচনার কথা শুনিয়ে সম্ভাব্য আবেদনকারীদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এই আইনে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে অমুসলমান যাঁরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে চলে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সে জন্য তাঁদের ভারতে থাকার মেয়াদ ১১ থেকে কমিয়ে (পুরোনো নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী) ৫ বছর করা হয়েছে।

আবেদনকারী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও পার্সিধর্মাবলম্বীদের দুটি বিষয়ে নথি জমা দিতে হবে। প্রথমটি হলো, তিনি যে ওই দেশের নাগরিক ছিলেন, তার প্রমাণ। দ্বিতীয়টি হলো, তিনি যে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন, তার প্রমাণ।

সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের ধারণা ৮৫ শতাংশের কাছেই প্রয়োজনীয় নথিপত্র রয়েছে। যাঁদের নেই, তাঁদের ক্ষেত্রে কী করা যায়, তা পরে ভাবা হবে।

সংসদে এ–সংক্রান্ত বিল পাস হওয়ার সময় থেকেই মুসলমানদের মধ্যে একটা ভয় বাসা বেঁধেছিল। এমন ধারণা করা হচ্ছিল যে সিএএ ও এনআরসির মধ্য দিয়ে মুসলমানদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, সিএএ কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য করা হয়নি। বরং দেওয়ার জন্য হয়েছে। তিনি বলেন, মুসলমানরাও এ দেশের নাগরিক হতে পারেন। তবে সেই নাগরিকত্ব পুরোনো আইন অনুযায়ী। সেই আইনে এ দেশে বসবাসের সময়সীমা ১১ বছর।

সিএএ নিয়ে প্রধানত পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম রাজ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দুই রাজ্যেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সিএএ বিরোধী প্রচারও চলছে।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘অনুগ্রহ করে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বিষয় নিয়ে রাজনীতি করবেন না। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের সঙ্গে অবিচার করবেন না। তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে অনুপ্রবেশ চলতে দেবেন না।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে অমিত শাহ আরও বলেন, ‘কে শরণার্থী আর কে অনুপ্রবেশকারী, সেই পার্থক্য বুঝতে শিখুন।’

মুসলমান,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,বিজেপি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close