ফিলিস্তিনের সদস্যপদ প্রশ্নে ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে পারেনি জাতিসংঘ
ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে চালানো প্রচেষ্টা এখন আনুষ্ঠানিক কাউন্সিল ভোটের দিকে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
নিয়ম অনুযায়ী, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার যে কোনো অনুরোধ প্রথমে নিরাপত্তা পরিষদের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এরপর সেটি সাধারণ পরিষদে অনুমোদিত হবে। নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে।
গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের জেরে জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের ২০১১ সালের একটি আবেদন গত সপ্তাহে আবারও উত্থাপন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ দ্রুত একটি আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা প্রক্রিয়া শুরু করে। তবে দায়িত্বে থাকা অ্যাডহক কমিটি বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
কাউন্সিলের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
এপ্রিল মাসে নিরাপত্তা পরিষদের পর্যায়ক্রমিক প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনকারী মাল্টিজ রাষ্ট্রদূত ভ্যানেসা ফ্রেজিয়ার বলেন, “পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলাকালে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ দেওয়ার জন্য কোন ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি।”
এই ব্যাপারে তিনি কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে বলেন, “দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন।”
কূটনৈতিক সূত্র অনুযায়ী, আগামী ১৮ এপ্রিল এই ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। পরিষদে আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী আলজেরিয়া এটি উত্থাপন করেছে।
পর্যবেক্ষকরা ধারণা করছেন, এক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রয়োজনীয় নয়টি ভোট প্রস্তাবের পক্ষে পড়লে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।