• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

থাইল্যান্ডে পালাচ্ছেন মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী বাসিন্দারা

প্রকাশ:  ১২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

বিদ্রোহীদের কাছে সীমান্ত শহর মায়াওয়াদ্দির হারানোর পর সেখানকার বাসিন্দারা পার্শ্ববর্তী থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়তেই থাকছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে থাই সীমান্ত ক্রসিংয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা মানুষের সারি দেখা গেছে। তাদের অনেকেই বিমান হামলার ভয়ে থাইল্যান্ডে পালাচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতি সংঘাত কমানোর জন্য মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে বার্তা পাঠিয়েছে থাইল্যান্ড। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা বলেছেন, “বিদ্রোহীরা সীমান্তবর্তী একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের শঙ্কায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

শান্তি ফেরাতে স্থবির হয়ে পড়া আলোচনা এগিয়ে নিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) সদস্যদের সঙ্গে থাইল্যান্ড কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন পার্নপ্রি।

মিয়ানমারের মিয়াওয়াদ্দি শহরের সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের মাই সট এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “থাইল্যান্ড শান্তি ও সংলাপ দেখতে চায়।”

জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী বাহিনীর সঙ্গে কয়েকদিন ধরে চলা লড়াইয়ে প্রতিবেশী থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মায়াওয়াদ্দি শহরকে সংযুক্ত করা একটি সেতুর নিয়ন্ত্রণ হারায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

গতকাল বৃহস্পতিবার কেয়ন রাজ্যের মায়াওয়াদ্দি শহরের ওই সেতুটি থেকে জান্তা বাহিনীর প্রায় ২০০ সেনা পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ও একটি জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুখপাত্র জানান।

মিয়ানমারের সেনাশাসিত সরকার বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। জান্তা বাহিনী সীমান্ত অঞ্চলের অনেকগুলো লড়াইয়ে পরপর পরাজয় বরণ করেছে।

মায়াওয়াদ্দি শহরটি থাইল্যান্ডের ম্যা সো শহরের কাছে। সেখান থেকে জান্তা বাহিনী পিছু হটায় তারা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।

মায়াওয়াদ্দিতে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে জান্তা বিরোধী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। শহরটির নিয়ন্ত্রণ করায়ত্ব করায় গোষ্ঠীটির অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে।

মিয়ানমারে লড়াই বাড়তে থাকায় মায়াওয়াদ্দি থেকে থাইল্যান্ডের ম্যা সো শহরে পালিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা এ সপ্তাহে দ্বিগুণ বেড়ে দিনে প্রায় ৪,০০০ হয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন বলেন, “মিয়ানমারের লড়াই থাইল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়া উচিত হবে না।”

সংঘর্ষ,আন্তর্জাতিক,থাইল্যান্ড,মিয়ানমার
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close