• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আমাকে ছেড়ে দাও বেড়াতে যাব, কারাগারে পুলিশকে আসামি

প্রকাশ:  ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:২৩ | আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ১৩:২৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সকাল সন্ধেয় চা বিস্কুট। পেট পুরে লাঞ্চ-ডিনার। রাতে ঘুম। থানার লকআপে কুল কর্ণ। দেখে কে বলবে, খুনে অভিযুক্ত এই যুবকই বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) ভারতের কাঁথি কোর্টে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়েছিল।

থানার মধ্যে পুলিশকে খোঁচা দিতেও ছাড়েনি। কটাক্ষের সুরে বলে, তোমাদের কী অবস্থা? সকালে উঠে একটু দৌড়াও। সঙ্গে আবারও পালানোর হুমকি।

বোমা-গুলি ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল খুনে অভিযুক্ত কর্ণ বেরা। কিন্তু শেষমেশ ধরা পড়ে যায়। কিন্তু ধরা পড়লে হবে কী। বৃহস্পতিবার কাঁথি থানার লকআপেও পুলিশকে অতিষ্ঠ করে ছাড়ে কর্ণ। সন্ধ্যা হতেই আবদার। সেই মতো আসে চা। রাতেও জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া। ডাল-ভাত-সবজি। পেট ভরে খেয়ে টেনে ঘুম দেয় খুনে অভিযুক্ত কর্ণ।

থানার লকআপে খাওয়া-দাওয়া-ঘুম। আর মাঝে মধ‍্যেই পুলিশকে খোঁচা। ঠোটের কোণে হালকা হাঁসি। হাসতে হাসতেই কটাক্ষের সুরে কর্ণ বলে তোমরা কি করলে? তোমাদের নিয়ে তো আমি যা খুশি করেছি। বাইক না বিগড়ে গেলে আবার পালাতাম। ধরতে পারতে না। কী করলে? বাইরে তো লোকজন তোমাদের নামে ভালোই বলছে। আমার এই চেহারা। আমাকে নিয়ে হিমশিম খাচ্ছো। তোমাদের কী অবস্থা? সকালে উঠে একটু দৌড়াও।

কখনও এরকম কটাক্ষ, কখনও আবার সরাসরি পুলিশকে হুমকি। কর্ণের হুঁশিয়ারি, লঙ্কাগুঁড়ো চোখে ছিটিয়ে পালিয়েছি। কোর্ট থেকে পালিয়েছি। আবার পালাব। আমাকে আটকে রেখে কী লাভ। আমাকে ছেড়ে দাও। আমি বেড়াতে যাব।

শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) সকালে ঘুম থেকে উঠে কর্ণের আবার চায়ে চুমুক। তারপর ছোলা-মুড়ি দিয়ে ব্রেকফাস্ট। বেলা গড়াতেই আবার ভাত-ডাল-সবজি।

কাঁথি থানা থেকে কর্ণ বেরাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে কাঁথি আদালত। মাঝপথে কাঁথি স্কুল মোড় বাজারে যানজটে আটকে পড়ে প্রিজন ভ‍্যান। এতে রক্তচাপ বেড়ে যায় পুলিশের। তখনও পুলিশের দিকে কর্ণের তীড়। খোঁচা দিয়ে বলে, চিন্তা হচ্ছে? আরে এভাবে পালানো যায় না কি? পালাতে হলে আগে থেকে ছক কষতে হয়।

পাখি আবার ফুড়ুৎ হয়ে যাবে না তো? ঘোর চিন্তায় পুলিশ।

/অ-ভি

কারাগার,পুলিশ,আসামি,ভারত
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close