বিজিএমইএ ভবন ভাঙার ক্ষেত্রে আদালত নমনীয় হবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল
রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে নির্মিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, অবৈধ ভবন ভাঙার ক্ষেত্রে আদালত নমনীয় হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে সময় চেয়ে করা আবেদনে আদালত অবমাননা হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এ ধরনের কোনো আবেদন করা হলে তা আদালতে যাবে এবং সে বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিজিএমইএর অবৈধ ভবন ভাঙার জন্য এক বছর সময় চেয়ে আপিল বিভাগে করা আবেদন তিন দিনের মধ্যে প্রত্যাহার চেয়ে বিজিএমইএর সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সময় চেয়ে আবেদন প্রত্যাহার না করা হলে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রেজিস্ট্রি ডাক যোগে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, এর আগে গত বছর ২ এপ্রিল ভবিষ্যতে আর সময় চাওয়া হবে না, উল্লেখ করে বিজিএমইএর দেওয়া অঙ্গীকার আবেদন মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় ভবন সরাতে সময় বৃদ্ধি করেন। আর কোনো সময় চাওয়া হবে না বলে অঙ্গীকার করার পরে যে সময় বৃদ্ধি করা হয় তা গত ১২ এপ্রিল পার হয়েছে। কিন্তু একজন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডের মাধ্যমে ভবনটি সরাতে আরো এক বছর সময় বাড়াতে আবেদন করেছেন। যেটা গত বছরের ২৩ এপ্রিল আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশের সরাসরি লঙ্ঘন। আপনার কার্যক্রম আপিল বিভাগের আদেশের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে লঙ্ঘন, যেটা আদালত অবমাননার শামিল। এ অবস্থায় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সময় চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অন্যথায়, আপনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। আপিল বিভাগও এ আদেশ বহাল রাখেন। এর পর বার বার সময় আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ এক বছর সময় দেওয়া হয়। যা গত ১২ এপ্রিল শেষ হয়। এরপরও ভবন সরিয়ে না নেওয়ায় গত মঙ্গলবার রাজউক ভবনটি সিলগালা করে।
পিবিডি/এসএম