• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

লোকমানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিচ্ছে দুদক

প্রকাশ:  ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্যাসিনো বসিয়ে বিসিবির পরিচালক ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ আয়ের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তদন্তে লোকমান হোসেনের ৬ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে আদালতে জমা দেয়ার জন্য চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের কমিশন সভায় এই চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়।

সম্পর্কিত খবর

    দুদক সূত্র জানায়, প্রাথমিক তদন্তে লোকমান হোসেনের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৮ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। ওই তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন। তদন্তে লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ৬ কোটি ৭২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, তিনি অবৈধভাবে অর্জিত ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮০ টাকা অস্ট্রেলিয়ায় পাচার করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ এনে চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে।

    দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানান, লোকমান হোসেন ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চার্জশিট অনুমোদন হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এটি আদালতে জমা দেয়া হবে।

    র‌্যাব ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যাসিনোটি পরিচালনা করতেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর একেএম মোমিনুল হক ওরফে সাঈদ কমিশনার ওরফে ক্যাসিনো সাঈদ। সাঈদ নিজে আরামবাগ যুব সংঘের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

    সূত্র জানায়, ক্যাসিনো সাঈদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল লোকমানের। দুজন পরামর্শ করে প্রভাব খাটিয়ে ক্লাবের পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে একটি রেজ্যুলেশন করে ক্যাসিনোর জন্য কক্ষ ভাড়া দেন। তবে ক্যাসিনো থেকে পাওয়া অর্থের প্রায় পুরোটাই ভোগ করতেন লোকমান। এছাড়া, সাঈদের সঙ্গে মিলে টেন্ডারবাজিতে অংশ নিতেন লোকমান।

    লোকমান একসময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেহরক্ষী ছিলেন। নব্বই দশকের শুরুতে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মোহামেডানের সাধারণ সম্পাদক হন। তখন থেকেই অবৈধভাবে ক্ষমতার ব্যবহার আর নানা অপকর্ম করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও সরকারের শীর্ষ এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হননি। অল্প দিনেই কয়েকশ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।

    ২০১৯ সালে রাজধানীর ক্লাবপাড়ায় অভিযান চলাকালে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে লোকমানকে আটক করে র‌্যাব।

    পূর্ব পশ্চিম/জেআর

    লোকমান
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close