• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

১৮ বছরেও শেষ হয়নি হুমায়ুন আজাদ হত্যার বিচার

প্রকাশ:  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১:৫৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বহুমাত্রিক লেখক ও অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যার ঘটনায় করা দুটি মামলা বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশ-বিদেশে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২০০৪ সালে ফৌজদারি আইনে একটি হত্যা এবং বিস্ম্ফোরক আইনে অন্য একটি মামলা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে বইমেলা থেকে ফেরার পথে হুমায়ুন আজাদকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।

হত্যা মামলায় ২০১২ সালের ২০ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। এরপর ১০ বছরে এ মামলার ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায়ের দিন ধার্য হবে। অন্যদিকে বিস্ফোরক মামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

হুমায়ুন আজাদের জ্যেষ্ঠ মেয়ে মৌলি আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছি। তবুও বিচার শেষ হচ্ছে না। আমরা কি কখনও বিচার পাব না? আশা করছি- দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ হবে।

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির রাতে পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে বাংলা একাডেমির উল্টো পাশের ফুটপাতে আক্রান্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ। তখন তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। তিনি ২২ দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। সবশেষ জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১২ আগস্ট তিনি মারা যান।

হুমায়ুন আজাদ মারা যাওয়ার পর ওই মামলাটি আদালতের নির্দেশে হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়। একই ঘটনায় হত্যা মামলার পাশাপাশি বিস্ফোরকদ্রব্য আইনেও মামলা হয়। দুটো মামলার বিচারই থমকে আছে।

ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু গণমাধ্যমকে বলেন, সাক্ষীদের বারবার সমন দেওয়া হলেও তারা হাজির হচ্ছেন না। এ কারণে মামলা দুটির বিচারে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হয়।

পূর্ব পশ্চিম/জেআর

ড. হুমায়ুন আজাদ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close