• রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিচার বিভাগের অসৎ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আপস নয়: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশ:  ০২ এপ্রিল ২০২২, ২১:১১
নিজস্ব প্রতিবেদক

হাতে গোনা কয়েকজন অসৎ কর্মকর্তার কারণে যদি জুডিশিয়ারি (বিচার বিভাগের) ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে তাদের ব্যাপারে কোনো আপস হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

শনিবার (২ এপ্রিল) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আসিনুল হক। বাংলাদেশ মহিলা জজ অ্যাসোসিয়েশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারক হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বজলুর রহমান, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, এসোসিয়েশনের মহাসচিব জিনাত সুলতানা প্রমুখ। দেশের মোট ১৯৪৯ বিচারকের মধ্যে ৫৪৪ জন নারী বিচারকের সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা জাজ এসোসিয়েশন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বিচার বিভাগের অধিকাংশ বিচারক-কর্মকর্তাই সৎ জীবনযাপন করছেন। তবে হাতেগোনা কয়েকজন অসৎ রয়েছেন। কতিপয় এই অসৎ কর্মকর্তার কারণে যদি বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না।

তিনি বলেন, সৎ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করতে একটি কমিটি করা হয়েছে। যারা ভালো করবেন তাদের প্রত্যেক বছর ‌‌‌প্রধান বিচারপতি' পদক দেওয়া হবে। এ জন্য একটা নীতিমালা করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন হয়। বিচারকদের লক্ষ্য হবে জনগণের আস্থা অর্জন করা। বিচারপ্রার্থী মানুষকে যাতে দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরতে না হয়। অধিকাংশ বিচারপ্রার্থী হয় জমি বন্ধক রেখে, না হয় হালের গরু বিক্রি করে অথবা গোলার ধান বিক্রি করে আইনজীবীকে টাকা দেন। এসব বিচারপ্রার্থী যদি দিনের পর দিন আদালতে ঘুরতে থাকেন, তাহলে তারা নিঃস্ব হয়ে যাবে। তাদের যত দ্রুত মুক্তি দেওয়া যায় ততই ভালো। মামলার জট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি থাকে মামলার জট থেকে উত্তরণ করা সম্ভব।

বিচারকদের বদলি ও পদায়ন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকদের বদলির জন্য জ্যেষ্ঠতা এবং যোগ্যতা দেখে বদলি করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো কমপ্রোমাইজ হবে না। জুডিশিয়ারি সঠিক পথে চলছে ও চলবে। একইভাবে পদায়নের জন্য কোনো সিনিয়রিটি ব্রেক হবে না।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম

প্রধান বিচারপতি,কর্মকর্তা,বিচার বিভাগ,হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close