• রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মোহাম্মদ নাসিমকে কটূক্তি করা সেই শিক্ষিকাকে পুনর্বহালের নির্দেশ

প্রকাশ:  ০৭ এপ্রিল ২০২২, ২১:১২ | আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২২, ২১:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির কারণে চাকরিচ্যুত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক সিরাজাম মুনিরাকে স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে তার বকেয়া বেতন ও প্রাপ্য অন্যান্য সুবিধা ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্যে কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা থেকে গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে অব্যাহতি দেন রংপুরের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. মো. আব্দুল মজিদ। এরপর সিরাজাম মুনিরা পেশা ও পদে ফিরতে চাইলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘সাময়িক বরখাস্তের’ আদেশ প্রত্যাহার না করে সিদ্ধান্তে অটল থাকে।

সম্পর্কিত খবর

    এ অবস্থায় গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্টে রিট করেন সিরাজাম মুনিরা। রিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাময়িক বরখাস্তের’ আদেশ প্রত্যাহার না সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করা হয়। বৃহস্পতিবার সে রিটের প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলসহ আদেশ দেন।

    বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে মুনিরাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং তাকে পুনর্বহাল করে তার বকেয়া বেতন ও অন্যান্য প্রাপ্য সুবিধা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ বিবাদিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

    আদালতে মুনিরার আবেদনে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

    ২০২০ সালের ১৩ জুন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম মৃত্যুবরণ করেন। পরে তার মৃত্যু নিয়ে শিক্ষক মুনিরার ফেইসবুকে দেওয়া পোস্ট নিয়ে অনেকেই আপত্তি তোলেন। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে একপর্যায়ে পোস্টটি মুছে দেন মুনিরা। কিন্তু পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। এ ঘটনায় তিনি ক্ষমা চেয়ে পরে আরেকটি পোস্ট দেন। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ১৩ জুন রাতে তাজহাট থানায় একটি মামলা করেন রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামাল। ওই দিন রাতে মুনিরাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ১৭ জুন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন এ শিক্ষক। পরে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে তার জামিন হয়। জামিনে থাকা অবস্থায় গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান মুনিরা।

    আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘রংপুরের সাইবার ট্রাইব্যুনাল মুনিরাকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলেও তিনি পেশায় ফিরতে পারছেন না। গত ৯ জানুয়ারি মুনিরা পদে ফিরতে আবেদন করলেও তা গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুনিরাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, মামলাটির চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে অনাস্থা জানিয়ে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনটি এখনও সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। তাই তাকে পুনর্বহাল করা যাবে না। ’ এরপরই হাইকোর্টে রিট করেন মুনিরা, যার প্রেক্ষিতে রুলসহ আদেশ হয়েছে।

    পূর্বপশ্চিম-এনই

    নাসিমকে নিয়ে কটূক্তি,ফেসবুকে কটূক্তি
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close